লংগদু প্রতিনিধি
পার্বত্য জেলা রাঙামাটি ও খাগড়াছড়িতে সপ্তাহজুড়ে ভারী বর্ষণ, পাহাড়ি ঢল ও উজান থেকে নেমে আসা পানির ফলে মাইনি নদীর পানি বৃদ্ধি পেয়ে নিচু এলাকা প্লাবিত হয়েছে। এতে রাঙামাটির লংগদু ও খাগড়াছড়ির দীঘিনালা উপজেলার সীমান্তবর্তী বেশ কয়েকটি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। সড়কগুলো পানিতে ডুবে যাওয়ায় যানবাহন চলাচল বন্ধ রয়েছে।
বুধবার দুপুর থেকে নদীর পানি বেড়ে লংগদুর আটারকছড়া ইউনিয়নের উত্তর ইয়ারিংছড়ি, লেমুছড়ি ও ডাঙ্গাবাজারের আশপাশের এলাকাসহ মাইনি নদীর পাড়ের নিম্নাঞ্চলের বসতবাড়িতে পানি ঢুকে পড়ে।
মাত্র এক মাসের ব্যবধানে দুইবার পানি ঢুকে নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হওয়ায় দুর্ভোগে পড়েছেন মাইনী নদীর পাড়ে বসবাসকারী বাসিন্দারা। ইতোমধ্যে বেশ কয়েকটি এলাকা পানিতে ডুবে গেছে। এসব এলাকার বাসিন্দারা স্থানীয় স্কুলগুলোতে আশ্রয় নিয়েছে।
এদিকে বন্যায় বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে লংগদুর প্রতিবেশি উপজেলা দীঘিনালার মেরুং ইউনিয়ন। মেরং বাজারসহ এখানে প্লাবিত হয়েছে অন্তত ১০ টির বেশি গ্রাম। এছাড়া খাগড়াছড়ি-লংগদু সড়কের মেরুং হেডকোয়ার্টার এলাকায় সড়ক ডুবে যাওয়ায় লংগদুর সাথে খাগড়াছড়ি ও সারাদেশের সড়ক যোগাযোগ বন্ধ রয়েছে।
বর্তমানে লংগদু থেকে ঢাকা ও চট্টগ্রামে যাতায়াতকারী শান্তি পরিবহন বন্ধ রয়েছে। এছাড়াও এপথে চলাচলকারী সব ধরনের যানবাহন ও মালবাহী গাড়ী চলাচল সম্পূর্ণ বন্ধ আছে। এ বিষয়ে শান্তি পরিবহনের লংগদু ব্যবস্থাক মিজানুর রহমান বাবু বলেন, সড়ক পানিতে ডুবে যাওয়ায় গত দুইদিন যাবৎ আমাদের বাস চলাচল বন্ধ রয়েছে। পানি কমলে বাসসহ অন্যান্য যানবাহন চলাচল শুরু হবে।
লংগদু উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ভারপ্রাপ্ত) কফিল উদ্দিন মাহমুদ জানান, অতি বৃষ্টির ফলে পানিতে নিচু এলাকা প্লাবিত হতে শুরু করেছে। আমরা জরুরি সভাকরে ১৬টি আশ্রয় কেন্দ্র প্রস্তুত রেখেছি। পাশাপাশি মেডিকেল টীম ও কন্ট্রোলরুম খোলা হয়েছে। বন্যা দুর্গতরা আশ্রয় কেন্দ্রে এলে তাদের জন্য ত্রাণ সহায়তার ব্যবস্থা করা হবে।