পাহাড়ি ও বাঙালির মধ্যে দ্বন্দ্ব তৈরি করে অনেকে সুবিধা নিতে চায় বলে মন্তব্য করেছেন অন্তর্বর্তী সরকারের তথ্য উপদেষ্টা নাহিদ ইসলাম।
তিনি বলেছেন, “আমরা তাদের সুযোগ করে দেব না। আমরা বলব, পাহাড়-সমতল সব মিলেই বাংলাদেশ।”
শনিবার সন্ধ্যায় খাগড়াছড়ির দীঘিনালার লারমা স্কয়ারে স্থানীয়দের সঙ্গে আলাপের সময় উপদেষ্টা পাহাড়ে সংঘাতে ক্ষতিগ্রস্তদের সহায়তা দেওয়াও ঘোষণাও দেন।
নাহিদ বলেন, “এই ঘটনায় যারা জড়িত, তাদের বিচারের মুখোমুখি করা হবে। যারা দোকানপাট পুড়িয়ে দিয়েছে, হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত, তাদের আমরা বিচারের আওতায় আনব। আমরা বারবার করে বলছি, আইন কেউ নিজের হাতে তুলে নেবেন না।”
বুধবার সকালে চুরির অভিযোগে পিটুনিতে মামুন নামে এক যুবক হত্যার প্রতিবাদে বৃহস্পতিবার বিকালে বিক্ষোভ মিছিল বের করে খাগড়াছড়ির দীঘিনালা ডিগ্রি কলেজের শিক্ষার্থীরা।
মিছিলের এক পর্যায়ে সংঘর্ষের সূত্রপাত ঘটে। পরে লারমা স্কয়ারের দোকানপাটে আগুন দেয় একটি পক্ষ। এতে ৬০-৭০টি দোকান পুড়ে গেছে বলে ক্ষতিগ্রস্তদের অভিযোগ।
দীঘিনালার ওই ঘটনার জের ধরে বৃহস্পতিবার রাতভর জেলা সদরে গোলাগুলির ঘটনা ঘটে। এ নিয়ে পুরো জেলায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে।
নাশকতা রোধে খাগড়াছড়ি পৌর শহর ও জেলা সদরে শুক্রবার বেলা ২টা থেকে ১৪৪ ধারা জারি করে জেলা প্রশাসন।