নিজস্ব প্রতিবেদক, খাগড়াছড়ি
খাগড়াছড়ি জেলা বিএনপির সভাপতি ও সাবেক সংসদ সদস্য ওয়াদুদ ভূইয়া বলেছেন, ‘পাহাড়কে অশান্ত করে ডক্টর ইউনূসের সরকারকে ব্যর্থ করার ষড়যন্ত্র চলছে। যাতে তারা দেশবিদেশে প্রশ্নের সম্মুখীন হয়। এভাবেই অন্তর্র্বতী সরকারকে ব্যর্থ করে পূর্বের হাসিনা সরকারের স্বৈরাচারী ও অগণতান্ত্রিক ব্যবস্থায় দেশকে ফিরিয়ে নেওয়ার অপচেষ্টা চালানো হচ্ছে। ’ নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক আইডি থেকে জেলার সার্বিক উদ্ভূত পরিস্থিতি নিয়ে দেওয়া এক পোস্টে এই তথ্য জানান ওয়াদুদ ভূইয়া।
পোস্টে ওয়াদুদ ভূইয়া লেখেন, ‘পাহাড়ে সাম্প্রতিক যে-সব অনাকাক্সিক্ষত ঘটনা ঘটছে এবং সেসব মূল ঘটনার পরবর্তী ঘটনায় আওয়ামী লীগ হামলা ও ভাঙচুর প্রত্যক্ষভাবে চালিয়ে যাচ্ছে। আওয়ামী লীগের তৃতীয়-চতুর্থ সারির নেতাকর্মীরাই এসব অনাকাক্সিক্ষত ঘটনা ঘটাচ্ছে। এদের সঙ্গে কিছু হুজুগে পাব্লিক জড়িয়ে যাচ্ছে যাদেরকে ফিফথ কলামিস্টও বলা যায়। পাহাড়ের ভেতরে ও বাইরে অবস্থান করে আওয়ামী লীগের পাহাড়ি নেতারা পাহাড়িদের ইন্ধন দিচ্ছে এবং বাঙালি আওয়ামী নেতারা বাঙালিদের নেতৃত্ব, ইন্ধন ও উসকানি দিয়ে পাহাড়ে দীর্ঘমেয়াদে সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা বাধানোর চেষ্টা করছে।’ এসবের সঙ্গে প্রতিবেশী একটি দেশের গোয়েন্দা সংস্থা সক্রিয়ভাবে জড়িত রয়েছে বলেও জানান তিনি।
সাবেক এই সংসদ সদস্য লেখেন, এ অবস্থা চলতে থাকলে পাহাড়ে আমরা পাহাড়ি-বাঙালি কেউই স্ব-স্ব অবস্থানে নিরাপদে বসবাস করতে পারবো না এবং দিন শেষে আমরা নিরীহ জনগণই ক্ষতিগ্রস্ত হব।
তিনি আওয়ামী লীগ ও বিদেশিদের এই সকল পাতানো ফাঁদে পা না দেওয়ার জন্য অনুরোধ জানান। একইসঙ্গে পিটিয়ে হত্যার ঘটনায় জড়িত সন্ত্রাসীদের কঠোর হস্তে মোকাবিলা ও গ্রেপ্তারের দাবিও জানান।
মঙ্গলবার দুপুরে খাগড়াছড়ি সরকারি টেকনিক্যাল স্কুল অ্যান্ড কলেজে আবুল হাসনাত মুহাম্মদ সোহেল রানা নামে এক শিক্ষককে পিটিয়ে হত্যা করা হয়। তার বাড়ি টাঙ্গাইল জেলার মির্জাপুর উপজেলায়। এই ঘটনার পর বিষয়টি পাহাড়ি-বাঙালি সংঘাতে রূপ নেয়।
এর আগে গত ১৮ সেপ্টেম্বর খাগড়াছড়ির নিউজিল্যান্ড এলাকায় একজনকে পিটিয়ে হত্যা করা হয়। এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে দীঘিনালায় সহিংস ঘটনা ঘটে। পরবর্তীতে খাগড়াছড়ি এবং রাঙামাটি জেলায় এ সহিংসতা ছড়িয়ে পড়ে। এসব ঘটনায় চারজনের মৃত্যু হয়।