আলাউদ্দিন শাহরিয়ার, বান্দরবান
পাহাড়ি জেলা বান্দরবানে জেঁকে বসেছে শীত। জেলার সাতটি উপজেলায় শীতের তীব্রতায় কাঁপছে জেলার সবশ্রেণী পেশার মানুষেরা। শীতবস্ত্রের অভাবে চরম কষ্ট পাচ্ছে পাহাড়ের শ্রমজীবি, দিনমজুর, দরিদ্র শ্রেণীর অসহায় মানুষগুলো। প্রচন্ড শীতে দৈনন্দিন কাজকর্মে দুর্ভোগ পোহাচ্ছে শীতার্ত মানুষগুলো। এদিকে শীতের তীব্রতায় বান্দরবান সদর হাসপাতাল এবং স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সগুলোতে সর্দি কাশি’সহ ঠান্ডাজনিত রোগে আক্রান্ত নারী, পুরুষ এবং শিশু রোগীর সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়েছে।
এদিকে জেলায় বাংলাদেশ সেনাবাহিনী, বিজিবি, জেলা প্রশাসন শীতবস্ত্র বিতরণের মাধ্যমে শীতার্তদের পাশে দাঁড়ালেও স্থানীয়ভাবে কোনো জনপ্রতিনিধি এখনো পর্যন্ত শীতার্ত মানুষদের পাশে দাঁড়াননি। শীতবস্ত্র বিতরণ কার্যক্রমও শুরু করেনি কোনো জনপ্রতিনিধি।
রোয়াংছড়ি ও থানচি উপজেলার বাসিন্দার সাচথোয়াই মারমা, শৈটিং মং মারমা অভিযোগ করে বলেন, শীতের তীব্রতায় কাপছে পাহাড়ের শীতার্ত গরীব মানুষেরা। শীত নিবারণের জন্য খড়খুটো দিয়ে আগুন জ্বালিয়ে উত্তাপ নিচ্ছে সাধারণ মানুষ। কিন্তু শীতার্ত মানুষদের পাশে নেই জনপ্রতিনিধিরা। ভোটের সময় ভোট চাইতে আসলেও শীতে কষ্ট পাওয়া পাহাড়ি মানুষদের খবর নিতে আসেনি। শীতার্তদের মাঝে কোনো শীতবস্ত্রও বিতরণ করা হয়নি এখনো।
আবহাওয়া অধিদপ্তরের তথ্যমতে, মঙ্গলবার গভীর রাত থেকে বুধবার সকাল পর্যন্ত বান্দরবান তাপমাত্রা ছিলো ৯.৪ মাত্রা। যা দেশের মধ্যে সর্বনিম্ন ছিলো গত কয়েকদিন।
বান্দরবানের সিভিল সার্জন মো. মাহবুবুর রহমান বলেন, শীতে ঠান্ডাজনিত রোগে আক্রান্ত হচ্ছে মানুষ। সদর হাসপাতাল এবং স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সগুলোতে ঠান্ডাজনিত রোগে আক্রান্ত রোগীদের সংখ্যাও বাড়ছে ক্রমশ। তবে পরিস্থিতি মোকাবেলায় প্রস্তুতি রয়েছে স্বাস্থ্য বিভাগের। কিন্তু এ সময়টাতে মানুষকে আরও বেশি সতর্ক এবং সচেতন থাকতে হবে।