হাবীবুল্লাহ মিসবাহ, রাজস্থলী
হাতি-মানুষ দ্বন্দ্ব নিরসনকল্পে জনসচেতনতা সৃৃষ্টির লক্ষ্যে রাঙামাটির রাজস্থলীতে প্রচারণামূলক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৃহস্পতিবার বেলা ১১টায় রাজস্থলী রেঞ্জের উদ্যোগে রাজস্থলী উপজেলা মডেল মসজিদ অডিটোরিয়ামে এই আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।
সম্প্রতি রাঙামাটির রাজস্থলী এবং কাপ্তাই উপজেলায় বিগত প্রায় ২ মাস ধরে বিভিন্ন এলাকায় বন্য হাতির দল স্থানীয় বাসিন্দাদের ফসল, ঘরবাড়ি মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্তসহ রাজস্থলীর একজন খামারি হাতির আক্রমণে মারা যায়। বর্তমানেও হাতির একটি দল রাজস্থলী উপজেলার ঘিলাছড়া ও গাইন্দ্যা ইউনিয়নের বিভিন্ন গ্রামে ও পাড়ায় স্থানীয় বাসিন্দা ও চাষিদের ফসলাদি ক্ষতিগ্রস্ত করে যাচ্ছে।
এরই প্রেক্ষিতে হাতি-মানুষ দ্বন্দ্ব নিরসনকল্পে জনসচেতনতা সৃষ্টির লক্ষ্যে আয়োজিত আলোচনা সভায় বক্তারা বলেন, বনভূমি নির্বিচারে কেটে ফেলা, পাহাড়ে যত্রতত্র আগুন দেওয়া, পাহাড়ে হাতির পর্যাপ্ত খাবার না থাকাসহ বিভিন্ন কারণে খাবারের খোঁজে বন্যহাতির দলগুলো লোকালয়ে চলে আসে। এরফলে মানুষের ফসলাদিসহ ইত্যাদি ক্ষতিগ্রস্ত করছে। হাতি যেনো লোকালয়ে চলে না আসে সেজন্য বনবিভাগের জনবলসহ সকল শ্রেণিপেশার মানুষকে এক হয়ে কাজ করতে হবে। হাতির আক্রমণ এবং ক্ষতি থেকে বাঁচার জন্য হাতিকে তার নিজস্ব নিয়মে চলতে দিতে হবে। তাদের চলাচলে কোন ধরনের ব্যাঘাত করা যাবে না। এছাড়াও হাতির আক্রমণ থেকে বাঁচার জন্য বিভিন্ন কৌশল এবং প্রক্রিয়া প্রজেক্টের মাধ্যমে উপস্থাপন করা হয়।
রাজস্থলী রেঞ্জ কর্মকর্তা মোঃ তুহিনুল হকের সঞ্চালনায় এবং রাজস্থলী উপজেলা নির্বাহী অফিসার সজীব কান্তি রুদ্রের সভাপতিত্বে এতে প্রধান অতিথি ছিলেন পাল্পউড বাগানবিভাগ কাপ্তাইয়ের বিভাগীয় কর্মকর্তা মো. সাজ্জাদুজ্জামান। এতে বিশেষ অতিথি ছিলেন বন্যপ্রাণী ও জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণ কর্মকর্তা দীপান্বিত ভট্টাচার্য। এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন রাজস্থলী উপজেলার সাংবাদিক, বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তাসহ উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নের ক্ষতিগ্রস্ত কৃষক এবং খামারীবৃন্দ।