জিয়াউল জিয়া
রাঙামাটিতে গত দুই দিন ধরে থেকে থেমে মাঝারি মাত্রার বৃষ্টিপাত অব্যাহত হয়েছে। প্রানহাণি এড়াতে প্রশাসনের পক্ষ থেকে পাহাড়ের পাদদেশে বসাবস ছেড়ে অন্যত্র সরে যেতে মাইকিং করা হচ্ছে। তবে এতে স্থানীয়দের মধ্যে নেই কোন
সাড়া।
অন্যদিকে শহরের রূপনগর এলাকায় সকালে মাটি ধসে ঘরের পাশে পড়েছে। ঘরের লোকজন সেই মাটি সরাতে ব্যস্ত। রূপনগর এলাকায় প্রশাসনের কাউকে দেখা যায়নি। তবে অন্যন্য এলাকায় ফায়ার সার্ভিস লোকজন মাইকিং করতে দেখা গেছে।
রাঙামাটি আবহাওয়া পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রের তথ্য মতে গত ২৪ ঘন্টায় রাঙামাটিতে ৯৪ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে।
রূপনগর এলাকার বাসিন্দা দোলেয়ার হোসেন বলেন, সকালে আমার বোনের বসার পাশে গাছসহ মাটি ধসে পড়ে। সকাল থেকে মাটি সরানোর কাজ করছি। প্রতিবছর বৃষ্টি হলে মাটি পড়ে যায়। কিন্তু আমাদের যাওয়ারও কোন জায়গা নাই। তাই ঝুঁকি নিয়ে এখানে থাকি।
রূপনগর এলাকার আরেক বাসিন্দা খাদিজা বেগম বলেন, বৃষ্টি এখনো বেশি মনে হচ্ছে না। বেশি হলে আশ্রায় কেন্দ্রে যাব। আশ্রয় কেন্দ্র গেলে কষ্ট। সকালের খাবার দুপুরে, দুপুরের খাবার রাতে, রাতের খাবারের ঠিক থাকে না।
রাঙামাটি ফায়ার সার্ভিস এর ওয়ার হাউজ ইন্সপেক্টও বিল্লাল হোসেন বলেন, গত দুইদিন ধরে টানা মাঝারি ও হালকা বৃষ্টি হচ্ছে। তাই জেলা প্রশাসনের নির্দেশে আমরা রূপনগর, শিমুলতলীসহ বেশ কিছু এলাকায় মাইকিং করে নিরাপদ
আশ্রয়ে থাকবে সচেতনতা করছি। তবে মানুষের মধ্যে কোন সাড়া পাচ্ছি না। আশা
করছি মানুষজন আশ্রয় কেন্দ্রে সড়ে আসবে।
রাঙামাটি জেলা প্রশাসনের অতিরিক্তি জেলা প্রশাসক (সার্বিক) জানান, আমরা কয়েকটি স্থান পরিদর্শন করেছি। বিকেলে আবার যাবো।