‘দুর্গম এলাকায় বসবাকারি ও পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠীর পানি ও স্যানিটেশন সেবা নিশ্চিতকরার লক্ষ্যে কাজ করছে বর্তমান সরকার।’ মঙ্গলবার সকালে রাঙামাটির নানিয়াচর উপজেলার ঘিলাছড়ি ইউনিয়নে পানি ও স্যানিটেশন বিষয়ক এক মতবিনিময় সভায় বক্তারা এসব কথা বলেন।
ঘিলাছড়ি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান অমর জীবন চাকমার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন,এনজিও ফোরাম ফর পাবলিক হেলথ চট্টগ্রাম অঞ্চলের সমন্বয়ক জোসেফ হালদার,সাহা দীপক কুমার,ঘিলাছড়ি ইউনিয়ন পরিষদের মেম্বার রমিতা চাকমা, শশী জীবন চাকমা,বেসরকার উন্নয়ন সংস্থা প্রগ্রেসিভ এর নির্বাহী পরিচালক সুচরিতা চাকমা ও অলোক দেওয়ান।
সভায় বক্তারা বলেন, সরকারের এ কর্মসুচীতে ইউনয়ন পরিষদগুলা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে। সরকারের লক্ষ হচ্ছে এনজিওগুলোকে শক্তিশালী করা। এদিকে, এনজিও ফোরামের তথ্য অনুযায়ী, এনজিও ফোরাম ফর পাবলকি হেলথ ২০১৩ ও ২০১৪ সালে ঘিলাছড়িতে ১৭ টি রেইন ওয়াটার হারভেস্টিং সিস্টেম স্থাপন করে।ঘিলাছড়ি ইউনিয়নে বর্তমানে ৮২৫ টি(৪৯%) পরিবার নিরাপদ পানি ব্যবহার করে। এদিকে, ঘিলাছড়ি ইউনিয়ন পরিষদ কর্তৃক ৪ টি গভীর নলকুপ স্থাপন করা হয়েছে, অন্যান্য সংস্থা কর্তৃক ৭ টি গভীর নলকুপ এবং ব্যাক্তিগতভাবে ১ গভীর নলুকুপ স্থাপন করা হয় যার মাধ্যমে ৩৫০ টি পরিবারকে নিরাপদ পানি ব্যবহারে নিশ্চিত করা হয়। ফলে ১৮% থেকে উন্নীত হয়ে মোট জনসংখ্যার ৪৯% জনগোষ্ঠী নিরাপদ পানি ব্যবহার শুরু করে। বর্তমানে ঘিলাছড়ির মোট জনসংখ্যা হচ্ছে ৯,৪৫০ জন তার মধ্যে পুরুষ হচ্ছে ৪,৬৫০ জন,মহিলা হচ্ছে ৪৮০০ জন। এখানে পরিবারের সংখ্যা ১,৮৯৯ টি তার মধ্যে হতদরিদ্র পরিবারের সংখ্যা হচ্ছে ১,৩৩০।
সভায় এনজিও ফোরামের অপর এক তথ্যে জানা যায় যে,ঘিলাছড়িতে বর্তমানে স্বাস্থ্যসম্মত ল্যাট্রিন ব্যবহার করে ৮৭৫ টি পরিবার (৪৬%) এরমধ্যে অস্বাস্থ্যকারী গর্ত পায়খানা ব্যবহারকারী পরিবার হচ্ছে ৭৯৮ টি(৪২%)।অপরদিকে খোলা স্থানে মলত্যাগ করে ২২৭ টি পরিবার(১২%)।
এনজিও ফোরাম কর্তৃক ২০১৩ সালের তথ্য অনুযায়ী স্বাস্থ্য অভ্যাস সম্পর্কে সচেতন ছিল মাত্র ২% পরিবার।স্বাস্থ্য সম্পর্কে বিভিন্ন উদ্বুদ্ধকরন কার্যক্রম বাস্তবায়নের ফলে বর্তমানে ২৪% পরিবার স্বাস্থ্য অভ্যাস সম্পর্কে জানে।
এদিকে ঘিলাছড়ি ইউনিয়ন পরিষদেও চেয়ারম্যান অমর জীবন চাকমা বলেন,ইউনিয়ন পরিষদগুলোতে যে বাজেট দেয়া হয় তা অতি নগন্য। বিগত সময়ে আমরা উন্মুক্ত বাজেট করতে পারিনি কিন্তু ২ বছর যাবত উন্মুক্ত বাজেট করছি। ইউপি চেয়ারম্যান আরো বলেন, ছোট বাজেটের কারনে আমরা অনেক কিছু করতে পারিনা।
সভায় বক্তারা বলেন, এখানে একটি জুস ফ্যাক্টরী নেই। এখানে জুস ফ্যাক্টরী থাকলে এখানকার চাষীরা বিভিন্ন ফলমুলে চাষ করতে পারতো। বক্তারা পার্বত্য অঞ্চলে একটি জুস ফ্যাক্টরি স্থাপনের দাবী জানান। মতবিনিময় সভায় রাঙামাটিতে কর্মরত বিভিন্ প্রিন্ট ও ইলেট্রনিক্্র মিডিয়ার সংবাদকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।