মো: ইসমাইল, পানছড়ি ।।
এক সময় যাদের মাথাগোঁজার ঠাঁই বলতে কেবল ভরসা ছিল ঝুঁপড়ি ঘর, এখন তাঁরা পাবেন পাকা বসতঘর। সাথে পাবেন জমিও। নতুন দমে বুকভরা শান্তির প্রশ্বাস নিয়ে তাঁরা উঠবেন নতুন ঠিকানায়। গোছাবেন বুঁকের ভেতর লালন করা হাজারো স্বপ্ন। বুধবার উপজেলা পরিষদ অডিটোরিয়ামে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কর্তৃক ৪র্থ পর্যায়ে (২য় ধাপ) বরাদ্দ পাওয়া পানছড়ি’র ৭৫টি ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবারের নিকট ২শতক জমি ও গৃহ হস্তান্তরের শুভ উদ্বোধন এবং সনদ বিতরণকালে উপজেলা নির্বাহী অফিসার রুবাইয়া আফরোজ একথা বলেন।
উপজেলা পরিষদের সূত্রানুসারে জানা যায়, পানছড়ি উপজেলার পাঁচ ইউপি-র প্রতিটি ইউনিয়নের মোট জনসংখ্যার আনুপাতিক হারে ধাপে ধাপে জমি ও ঘর হস্তান্তর করা হচ্ছে। তারই ধারাবাহিকতায় এবারোও চাকমা, মারমা, ত্রিপুরা, বাঙ্গালী ও অন্যান্য সম্প্রদায়ের মাঝে বরাদ্যকৃত ঘর বন্টন করা হয়। পানছড়ি সদর ইউপি ১০টি, লোগাং ইউপি ১৯টি, চেঙ্গী ইউপি ৯টি, লতিবান ইউপি ১৮টি ও উল্টাছড়ি ইউপি-র ১৯টি সহ মোট ৭৫টি ঘরের মালিকানা হস্তান্তর করা হয়।
ঘর পেয়ে অতি আনন্দে মাতোয়ারা প্রতিবন্ধী অজি ত্রিপুরা, বয়োবৃদ্ধ অঙ্গরায় চাকমা, সাহেরা বেগম, আরশাদ আলী ও উমিয়া মগ। জানালেন আত্নতৃপ্তির কথা। খড়-পাতায় ছাওয়া ভাঙা ঘরের দিন কাঁটিয়ে এখন উঠবেন তিনি নতুন ঘরে। অনেকে আবার ভাড়া বাড়ি থেকে পাড়ি জমাবেন নিজের বাড়ি, নিজের আঙ্গিনায়। পারিবারিক পুষ্টির চাহিদার যোগান দিতে লাগাবেন গাছ-গাছালিও।
অতিথিরাও একে একে সকলেই তাঁদের বক্তব্যে সরকারের দেয়া ঘরের প্রতি যত্নবান ও বাড়ির আঙ্গিনায় পুষ্টির চাহিদা মেটাতে গাছ-গাছালি লাগানোর পরামর্শ দেন। তাই উৎসাহ দিতে প্রত্যেকের মাঝে তুলে দেন একটি করে ফল গাছের চারাও।
এসময় প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা আনোয়ার হোসেন’র সঞ্চালনায় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রুবাইয়া আফরোজের সভাপতিত্বে অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা পরিষদ প্যানেল চেয়ারম্যান চন্দ্র দেব চাকমা, সহকারী কমিশনার (ভূমি) আহমেদ হাছান, বীর মুক্তিযোদ্ধা আলী আহমেদ, উপজেলা পরিষদের মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান মনিতা ত্রিপুরা, ইউপি চেয়ারম্যানগন, বিভিন্ন দপ্তরের প্রশাসনিক কর্মকর্তাগণ, উপকারভোগী ও গণমাধ্যম কর্মীসহ অন্যান্যরা।