মাহমুদুল হাসান,বাঘাইছড়ি
পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)’র একটি প্রতিবেদন জাল করায় রাঙামাটির বাঘাইছড়ি উপজেলার আমতলী ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান রাসেল চৌধুরীকে জেলার লংগদু উপজেলার মাইনী এলাকা থেকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
বুধবার (২৯ নভেম্বর) রাতে এ তথ্য নিশ্চিত করেন, রাঙামাটি কোতয়ালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আরিফুল আমিন।
জানা গেছে, রাসেল চৌধুরীর সহচর বাঘাইছড়ি উপজেলার আমতলী ইউনিয়নের বাসিন্দা মো. পারভেজ হোসেন বাদী হয়ে একই ইউনিয়নের ওমর ফারুকসহ ১০ জন ব্যক্তির বিরুদ্ধে বিজ্ঞ আদালতে চাঁদাবাজিসহ বিভিন্ন ধারায় সি.আর-৪০৪/২৩ মামলা দায়ের করে।
আদালত মামলাটি পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনকে (পিবিআই) তদন্তের জন্য নির্দেশ দেন। রাসেল চৌধুরী আদালতের সেরেস্তো থেকে মামলার নথিটি পিবিআইকে সরাসরি জমা দেওয়ার কথা বলে নিয়ে যায়। এর কিছুদিন পর রাসেল নিজেই একটি তদন্ত প্রতিবেদন আদালতের সেরেস্তাকে জমা দেয়। প্রতিবেদন বিজ্ঞ আদালতে গেলে প্রতিবেদনটি আদালতের কাছে তা অসামঞ্জস্যপূর্ণ বলে মনে হলে আদালতে কোর্ট পুলিশকে অবহিত করে।
পরে কোট পুলিশ প্রাথমিক তদন্ত করে জানতে পারে, রাসেল চৌধুরী প্রতারণা ও জালিয়াতির মাধ্যমে সেরেস্তা থেকে মামলার নথি পিবিআইকে না দিয়ে পিবিআইয়ের সাবেক পুলিশ পরিদর্শক জাহাঙ্গীর আলম (যিনি ২০১৪-২০১৮ সাল পর্যন্ত চট্টগ্রামে পিবিআইয়ে কর্মরত ছিলেন) এর নাম, সাক্ষর, ও সিলমোহর ব্যবহার করে নিজের মতো মিথ্যা, বানোয়াট, উদ্দেশ্যে প্রণোদিত প্রতিবেদন জাল, জালিয়াতির মাধ্যমে জমা দেন। জাল, জালিয়াতি করে ফৌজদারী অপরাধ করায় তিনি এবং তার অজ্ঞাতনামা সাহায্যকারীদের বিরুদ্ধে কোতয়ালী থানায় বুধবার (২৯নভেম্বর) প্রতারণা ও জালিয়াতির মামলা রুজু হয়।
গ্রেফতার হওয়া রাসেল চৌধুরীকে বৃহস্পতিবার আদালতে তোলা হবে জানিয়েছেন কোতয়ালী থানার ওসি।
এর আগে ৯ নভেম্বর দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গের দায়ে রাসেল চৌধুরীকে বাঘাইছড়ি উপজেলা আওয়ামীলীগের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদকের পদ থেকে সাময়িক অব্যাহতি দিয়েছে রাঙামাটি জেলা আওয়ামীলীগ। বাঘাইছড়ির আমতলী ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যানও ছিলেন রাসেল চৌধুরী।