জিয়াউল জিয়া
দেশের অন্যান্য আসনের মতো রাঙামাটি জেলার একমাত্র ২৯৯নং আসনে ব্যাপক উৎসাহ-উদ্দীপনায় চলছে নির্বাচনী প্রচার-প্রচারণা। দিনরাত ভোটারদের দুয়ারে দুয়ারে ভোট চাচ্ছেন প্রার্থীরা। চিরায়ত ভোটের যে উৎসব প্রচার-প্রচারণায় সেই আমেজ ফুটে উঠেছে। বসে নেই প্রার্থীদের ঘরের বউরাও। তাদেরই একজন নৌকার প্রার্থী দীপংকর তালকুদারের স্ত্রী বিটা তালুকদার।
প্রতিদ্ব›িদ্বতার নিরিখে নৌকার প্রার্থী যদিও অনেকটা নির্ভার, তারপরও স্বামীর জন্য ভোট চাইতে মাঠে নেমেছেন তিনি। এতে নির্বাচনী প্রচার-প্রচারণায় ভিন্ন আমেজ সৃষ্টি হয়েছে। পুরুষের পাশাপাশি নারীরাও এখন সমাজে অনেক এগিয়ে। সরকারের উন্নয়ন ও নারী ক্ষমতায়নের বিষয়ে ভোটারদের কাছে বেশি করে তুলে ধরছেন তিনি। ঘরের বউ সাধারণ মানুষের মাঝে ভোট চাইতে বের হওয়ায় সবার মাঝে কৌতুহল সৃষ্টি হয়। অনেকেই বিটা তালুকদারের প্রচার-প্রচারণা দেখতে ভিড় করছেন উৎসুক মানুষজন।
শহরের গর্জনতলী এলাকার বাসিন্দা শোভা রানী ত্রিপুরা বলেন, এমপি’র বউ ভোট চাইতে আমাদের এলাকায় আসছে শুনে, ওনাকে দেখতে আসছি। এভাবে এমপি’র বউ ভোট চাইবে আমাদের কাছে তা কখনো ভাবিনি।
শহরের মহসিন কলোনী এলাকার বাসিন্দা মো. রানা মিয়া বলেন, দীপংকর তালকুদারের স্ত্রী ভোট চাইতে আমাদের এলাকায় এসেছে। বিষয়টি প্রথমে বিশ^াস করতে পারছিলাম না। ওনি আমাদের ৭ তারিখ নৌকায় ভোট দিতে কেন্দ্রে যেতে বলেছে।
প্রচারে অংশ নেয়া সমর্থকরা বলেন, আগামী ৭ জানুয়ারি নির্বাচনকে সামনে রেখে রাঙামাটির একমাত্র সংসদীয় আসনে চলছে বেশ জোরেশোরে প্রচার-প্রচারণা। নারীদের ভোটকেন্দ্রে নিতে বাড়ি বাড়ি গিয়ে ভোট চাইছেন আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থীর বউ। তাঁর এমন প্রচারণায় নারীদের ভোটকেন্দ্রে যাওয়ার আগ্রাহ তৈরি হচ্ছে।
নৌকার প্রার্থী দীপংকর তালকুদারের স্ত্রী বিটা তালুকদার বলেন, যেহেতু ভোটার অর্ধেক নারী, তাই নারীরা যাতে ভোট কেন্দ্রে গিয়ে নৌকা মার্কায় ভোট দেয় সেই বিষয়ে উৎসাহ দিচ্ছি। একই সাথে আওয়ামী লীগ সরকার নারীদের উন্নয়ন এবং এই এলাকায় উন্নয়নের চিত্রগুলো তাদের জানাচ্ছি। তারাও আমাকে আশা দিয়েছে। ৭তারিখ সবাই কেন্দ্রে যাবে। ভোটাররা কেন্দ্রে গেলে জয়ের ব্যপারে আমরা আশাবাদি।
নির্বাচনে আওয়ামীলীগ প্রার্থীসহ তিনজন প্রতিদ্ব›িদ্বতা করছেন। এরমধ্যে মুক্তিজোটের প্রার্থী অমর কুমার দে অবিবাহিত এবং অপর প্রার্থী তৃণমূল বিএনপির মিজানুর রহমানকে এখনো ভোটের মাঠে দেখা যায়নি। রাঙামাটি আসনে আওয়ামী লীগ চার বার, বিএনপি এবং স্বতন্ত্র প্রার্থী একবার করে জয়ী হন। এখানে মোট ভোটার ৪ লাখ ৭৯ হাজার ৩১৭।