একপাশে পাহাড় আর অন্যপাশে নীল জলরাশির পাড় ধরে বয়ে চলা নয়নাভিরাম আসামবস্তি থেকে কাপ্তাই সড়ক সম্প্রসারণ কাজ সহসাই শুরু হবে বলে জানিয়েছেন এলজিইডি নির্বাহী প্রকৌশলী আবু তালেব চৌধুরী। তিনি জানান, সড়কটি আরও ছয়ফুট প্রশস্থ করা হবে, যুক্ত করা হবে ৪টি ব্রিজ, যেহেতু ব্রিজ তৈরির সময় বাই পাস দেয়ার কোন জায়গা থাকবে না তাই ঐ সময় সড়কটি বন্ধ রাখতে হবে। তাই প্রথমে সড়ক প্রশস্থের কাজ শেষ করে এক সাথে চারটি ব্রিজের কাজ করা হবে, সে সময় সড়কটি বন্ধ থাকবে।
রাঙামাটি জেলার সার্বিক আইন-শৃঙ্খলা বিষয়ক মাসিক সভায় তিনি এ কথা বলেন। বৃহস্পতিবার সকালে জেলা প্রশাসন সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত সভায় উপস্থিত ছিলেন রাঙামাটি জেলা প্রশাসক একেএম মামুনুর রশিদ, সিভিল সার্জন ডাঃ বিপাশ খীসা, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সদর সার্কেল তাপস ঘোষ, উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান শহীদুজ্জামান রোমান, সদর উপজেলা নির্বহী অফিসার ফাতেমা তুজ জোহুরাসহ জেলার বিভিন্ন দপ্তরে কর্মকর্তা সুশীল সামাজের প্রতিনিধি ও গণমাধ্যমকর্মীগণ উপস্থিত ছিলেন।
সভায় এলজিইডি নির্বাহী প্রকৌশলী আরো বলেন, ঘাগড়া-কাউখালী সড়কের ক্ষতিগ্রস্ত আড়াই কিলোমিটারের কাজও জুলাই মাসে শুরু হবে। তবে জুরাছড়িতে সড়কের কাজ করতে গিয়ে এখন শ্রমিকদের ১৪ দিন কোয়ারেন্টিনে রেখেছেন উপজেলা চেয়ারম্যান, তাই সেখানে কাজ ব্যাহত হচ্ছে বলে জানান তিনি। তিনি আরও বলেন, রাঙামাটিতে মানসম্মত স্বাস্থ্য সেবা না থাকায় শুধু মাত্র অক্সিজেনের অভাবে তার একজন সহকর্মীকে হারাতে হয়েছে, তাই এ বিষয়ে তিনি সকলের সুদৃষ্টি কামনা করেন।
এ প্রসঙ্গে জেলা প্রশাসক একেএম মামুনুর রশিদ বলেন, রাঙামাটির স্বাস্থ্য সেবার মান বা সুবিধা দেশের অন্যান্য অঞ্চলের থেকে কিছুটা পিছিয়ে আছে, সেটাকে আরও দুরহ করেছে অনুন্নত যোগাযোগ ব্যবস্থা। তবে এ সকল বিষয়কে গুরত্ব দিয়ে কাজ করা হচ্ছে, আগামীতে এখানকার স্বাস্থ্য বিভাবের আমূল পরিবর্তন ঘটবে।
সিভিল সার্জন বিপাশ খীসা বলেন, রাঙামাটিতে স্বাস্থ্য বিভাগের যে ক্ষমতা আছে তার সর্বোচ্চটা দিয়ে মানুষকে সেবা প্রদান করা হচ্ছে, এবং সেটা অব্যাহত থাকবে।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সদর সার্কল তাপস ঘোষ বলেন, গত পরশু মানিকছড়িতে একটা হত্যাকান্ডের ঘটনা ঘটেছে, এই করোনাকালীন সময়েও ঘটনার ২৪ ঘন্টার মধ্যে আমরা দুজনকে গ্রেপ্তার করেছি, তাদের রিমান্ডের আবেদনও করা হয়েছে। তিনি আরও বলেন, করোনা সংক্রমণ রোধে প্রশাসনে পাশাপাশি পুলিশ মাঠে কাজ করছে, ফলে রাঙামাটির আক্রান্তের সিংহভাগ পুলিশ সদস্য।
জেলা প্রশাসক একেএম মামুনুর রশিদ বলেন, আমরা সকলে সহযেগিতা নিয়ে করোনা সংক্রমণ রোধে কাজ করছি, সকলেই আমাতের সহযোগিতা করেছেন, এবং করবেন। আপনাদের সকলের সহযোগিতার কারণেই রাঙামাটি এখনো অনেক নিরাপদ আছে। রাঙামাটিকে করোনা মুক্ত করতে সকলে সচেতন ও সহযোগিতার আহবান করেন তিনি।