জিয়াউল জিয়া ও সাইফুল হাসান
গাজায় ইসরায়েলের হামলার প্রতিবাদ জানিয়ে বিক্ষোভ মিছিল ও মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে রাঙামাটিতে। শুক্রবার জুম্মা নামাজ আদায় শেষে শহরের ফিসারি ঘাট ও কালেক্টর মসজিদ থেকে ইসলামি আন্দোলন বাংলাদেশ রাঙামটি জেলা শাখার পক্ষ থেকে বিক্ষোভ মিছিল বের করা হয়। মিছিলটি শহরের প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে বনরুপায় গিয়ে সংক্ষিপ্ত সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।
সমাবেশে বক্তব্য রাখেন ইসলামি আন্দোলন বাংলাদেশ রাঙামটি জেলা শাখার সভাপতি মো. জসিম উদ্দিন, আলা উদ্দিন রাফি, এম এস শফি ও ইমাম হোসেন।
একই সময় বনরূপা মসজিদের সামনে আহলে সুন্নাত ওয়াল জমাআত বাংলাদেশ রাঙামটি জেলা শাখা মানববন্ধন ও বিক্ষোভ সমাবেশ করেন।
মানববন্ধন ও বিক্ষোভ সমাবেশ বক্তব্য রাখেন জেলা কমিটির সভাপতি সুফি আলম আল কাদেরী, যুগ্ম সম্পাদক আক্তার হোসনে চৌধুরী, বনরুপা জামে মসজিদের খতিব মাওলানা ইকবাল হোসেন, কলেজ গেইট জামে মসজিদ খতিব মাওলানা সুলতান মাহমুদ প্রমুখ।
ইসলামি আন্দোলন বাংলাদেশ রাঙামটি জেলা শাখার সভাপতি মো. জসিম উদ্দিন বলেন, ‘আমেরিকা মানবাধিকারের কথা বলেন। তারা বিভিন্ন দেশকে মনবতার কথা ফেরি করে বেড়ায়, আজ তারা ফিলিস্তিনের মানুষের ওপর হত্যা সমর্থন করে কিভাবে? জাতিসংঘ ও আমেরিকা আজ ইসরায়েলের হামলাকে সমর্থন দিয়ে যাচ্ছে। ফিলিস্তিনের সাধারণ মানুষের প্রতি যে জুলুম-নির্যাতন চলমান, তার প্রতিবাদে আজ আমরা সমবেত হয়েছি। ইসরায়েলের অবৈধ দখলদারির প্রতিবাদ জানাচ্ছি। আমরা মুক্তিকামী জনতার প্রতি সংহতি জানাচ্ছি। আমরা কোনো জঙ্গিবাদকে সমর্থন করি না। কিন্তু বিশ্বের যে প্রান্তে অন্যায় হবে, সেখানেই আমাদের প্রতিবাদ জারি থাকবে।’
আহলে সুন্নাত ওয়াল জমাআত বাংলাদেশ রাঙামাটি জেলা শাখা সভাপতি সুফি আলম আল কাদেরী বলেন, ইসরায়লি ইহুদি গোষ্ঠীরা দীর্ঘদিন ফিলিস্তান দখল করে নির্যাতন করে আসছে। তারাই প্রতিবাদ করায় উল্টো আবারও নির্যাতন ও হামলার শিকার হচ্ছে ফিলিস্তিনির সাধারণ জনগণ। এতে পশ্চিমা ক্ষমতাধর রাষ্ট্রগুলো এই হামলাকে আরো উসকে দিচ্ছে। তাই ইসলামী রাষ্ট্রগুলো এই হামলার প্রতিবাদে সকলকে এক হওয়ার আহŸান জনানো হয়। সাথে সাথে এই হামলার তীব্র নিন্দা ও জানানো হয়।
ফিলিস্তিনি পতাকা নিয়ে অনেককে মিছিলে আসতে দেখা গেছে। বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ কেন্দ্র করে শহরের অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়।