রাঙামাটিতে একটি সিএনজি চালিত অটোরিক্সায় আগুন দিয়েছে দুর্বৃত্তরা। এর প্রতিবাদে শহরে ঘন্টা ব্যাপি সড়ক অবরোধ করে রাখেন অটোরিক্সা ও অন্যান্য যান বাহনের পরিবহন শ্রমিকরা।
শুক্রবার (০৯ জুন) রাত ৯টায় দিকে অস্ত্রধারী সন্ত্রাসী শহরের প্রবেশ মুখের কিছুটা আগের দেপ্পাছড়ি এলাকায় সিএনজি চালিত একটি অটোরিক্সায় (রাঙ্গামাটি থ- ১১-০৫৯৮) আগুন ধরিয়ে দেয়। এদিকে হামলার প্রতিবাদে শহরের বনরুপায় অবরোধ করেন অটোরিক্সা শ্রমিক ইউনিয়নের নেতাকর্মীরা।
এসময় ঘন্টাব্যাপি এ অবরোধে দুই দিকের শতাধিক গাড়ি আটকে পরে।
রাঙামাটি অটোরিক্সা চালক শ্রমিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক মিজানুর রহমান বাবু বলেন, আমাদের চালক সমিতির সদস্য রনেশ্বর দাশকে সন্ত্রাসীরা হামলা করে তার গাড়ি পুড়িয়ে দিয়েছে। আমরা শহরের বনরুপায় অবরোধ করেছিলাম পরে প্রশাসনের আশ্বাসে অবরোধ তুলে নিয়েছি। এর আগেও একই রকম ঘটনা ঘটেছে। চাঁদার দাবিতে এবং তাদের নির্ধারিত কূপন না থাকলেই আঞ্চলিক দলগুলোর সশস্ত্র সন্ত্রাসীরা চালকদের গাড়ী পুড়িয়ে দেয়,অপহরণ করে,হত্যা করে। এর আগের ঘটনাগুলোর বিচার সা হওয়ায় তারা বারবার এসব করার সাহস পাচ্ছে।
রাঙামাটি অটোরিক্সা চালক শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি পরেশ মজুমদার বলেন, শহরের বনরুপা থেকে ঘাগড়ার উদ্দেশ্যে ৩টি সিএনজি ছেড়ে যায়। তৃতীয় নাম্বার সিএনজি অটোরিক্সাটি দেপ্পোছড়ি এলাকায় পৌঁছালে কয়েকজন সশস্ত্র ব্যক্তি গাড়িটিকে দাঁড় করিয়ে চাঁদার টোকেন চায়। গাড়ির চালক চাঁদার টোকেন দেখাতে ব্যার্থ হলে চালক এবং গাড়িতে থাকা যাত্রীকে মারধর করে সড়কের একপাশে নিয়ে যায় এবং গাড়িটিতে আগুন ধরিয়ে দেয়।
তিনি আরও বলেন, এই ঘটনার প্রতিবাদে আমরা তাৎক্ষণিক শহরের বনরুপাতে একটি প্রতিবাদ সভা করেছি এবং আগামী ৭২ ঘন্টার আল্টিমেটাম দিয়েছি। ৭২ ঘন্টার মধ্যে আসামীদের গ্রেফতারসহ ক্ষতিপূরণের দাবি জানিয়েছি আমরা।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে রাঙামাটি কোতয়ালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আরিফুল আমিন জানান, একটি অটোরিক্সা রাঙামাটি শহর থেকে যাওয়ার সময় দেপ্পাছড়ি নামাক এলাকায় পৌঁছালে সেখানে ৫জন অস্ত্রধারী সন্ত্রাসীরা গাড়িটিকে আটকিয়ে চাঁদা টোকেন খুঁজে। পরে গাড়ির চালককে আটকিয়ে রেখে তাকে মারধর করে টাকা ও মোবাইল ছিনতাই করে এবং গাড়িতে আগুন ধরিয়ে দেয়।
তিনি আরও বলেন, আমরা গাড়ি ও চালককে উদ্ধার করে পুলিশ হেফাজতে নিয়েছে। পরবর্তীতে এ বিষয়ে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।