নিজস্ব প্রতিবেদক, দীঘিনালা
গত দুইদিনের টানা বর্ষণে আবারো প্লাবিত হয়েছে দীঘিনালার নিম্নাঞ্চল। বিভিন্ন এলাকার সড়ক ডুবে যাওয়ায় দীঘিনালার সাথে রাঙামাটির পর্যটন এলাকা সাজেক এবং লংগদুর সাথে সড়ক যোগাযোগ সম্পূর্ণ বন্ধ রয়েছে। মেরুং, কবাখালি এবং বোয়ালখালি(সদর) ইউনিয়নে ১৬টি আশ্রয়কেন্দ্রে ছয় শতাধিক মানুষ আশ্রয় নিয়েছেন।
মাত্র এক মাসের ব্যাবধানে আবারো বন্যা কবলিত হলো দীঘিনালা। এবারের বন্যায় পানিবন্দি হয়েছে মেরুং, কবাখালি ও বোয়ালখালি (সদর) ইউনিয়নেরপ্রায় সাত হাজার পরিবার। দীঘিনালা ও বাবুছড়া ইউনিয়নের কিছুএলাকার লোকজন ও পানিবন্দি রয়েছে।
এদিকে দীঘিনালা-সাজেক সড়কের কবাখালি, বাঘাইহাট, গঙ্গারাম ও মাচালং এলাকার সড়ক পানির নিচে থাকায় বন্ধ রয়েছে সড়ক যোগাযোগ। অপরদিকে দীঘিনালা-লংগদু সড়কের বেলছড়ি, বেতছড়ি, বড়মেরুং এবং ছোটমেরুং বাজার এলাকার সড়ক পানির নিচে থাকায় লংগদুর সাথেও বন্ধ রয়েছে সড়ক যোগাযোগ।
বন্যা কবলিত হয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে উপজেলার মেরুং, কবাখালি এবং বোয়ালখালি (সদর) ইউনিয়ন। শুক্রবার সন্ধ্যা থেকেই মাইনী নদীর দু’কুল প্লাবিত হয়ে নি¤œাঞ্চলের মানুষের ঘরবাড়িতে পানি ঢুকতে শুরু করে। গত বন্যার চেয়ে এবারের বন্যার পরিধি অনেক বেশি। শনিবার দুপুরে এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত পানি বৃদ্ধি অব্যাহত ছিল।
মেরুং ইউপি চেয়ারম্যান মাহমুদা বেগম লাকি জানান, সে ইউনিয়নের প্রায় ২০ গ্রামের ছয় হাজার পরিবার পানিবন্দি। এরমধ্যে ছয়টি আশ্রয় কেন্দ্রে ৩০০ মানুষ আশ্রয় নিয়েছেন। তাদেরকে ইউনিয়ন পরিষদের পক্ষ থেকে খিঁচুড়ি রান্না করে খাওয়ানো হ”েছ এবং শুকনা খাবার দেওয়া হ”েছ।
কবাখালি ইউপি চেয়ারম্যান নলেজ চাকমা জানান, ইউনিয়নে ছয়টি আশ্রয় কেন্দ্রে আশ্রয় নিয়েছে ১৫০ মানুষ। পানিবন্দি হয়েছে ১০ গ্রামের প্রায় এক হাজার পরিবার।
বোয়ালখালি (সদর) ইউপি চেয়ারম্যান চয়ন বিকাশ চাকমা জানান, তাঁর ইউনিয়নে চারটি আশ্রয়কেন্দ্রে ১৫০ পরিবার আশ্রয় নিয়েছে, পানিবন্দি হয়েছে সাত গ্রামের প্রায় ৪০০পরিবার।