জিয়াউল জিয়া ও মাহমুদুল হাসান
সড়ক নির্মাণ কাজ নিয়ে বিরোধের জেরে রাঙামাটির বাঘাইছড়ি উপজেলার খেদারমারা ইউনিয়নের দুরছড়ি বাজারে আওয়ামীলীগ ও স্বেচ্ছাসেবকলীগের নেতাকর্মীদের মধ্যে সংঘর্ষে অন্তত ১২ জন আহত হয়েছেন। বুধবার রাতে এই ঘটনা ঘটে। আহতদের মধ্যে ৬ জনের অবস্থা খারাপ হওয়ায় তাদের প্রতিবেশী জেলা খাগড়াছড়ির জেনারেল হাসপাতালে রেফার করা হয়েছে।
বাঘাইছড়ি থানার অফিসার ইনচার্জ ইশতিয়াক আহম্মদ দুই গ্রুপের মারামারি ঘটনার বিষয়টি নিশ্চিত করে জানিয়েছেন, ‘ঘটনার পর এলাকার অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়ন করা হয়েছে এবং ঘটনার সাথে জড়িতদের আটকের চেষ্টা চলছে।’
স্থানীয়রা বলছেন,রাঙামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদের অর্থায়নে দুরছড়ি বাজারে একটি বাজের শেড নির্মাণ করা হচ্ছে। কিন্তু বাজার শেডটির নির্মাণের ফলে চলাচলের সড়ক বাধাগ্রস্থ হওয়ায় এনিয়ে বাজার কমিটির সভাপতি ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি মদন কান্তি দে এবং ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল জালালের মধ্যে বিরোধ দেখা দেয়। বিকল্প সড়ক তৈরি না করে বাজার শেড নির্মাণে বাধা দেন জালাল। এনিয়ে বিরোধের জেরেই ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি মদন কান্তি দের নেতৃত্বে আওয়ামীলীগের নেতাকর্মীরা স্বেচ্ছাসেবকলীগের আব্দুল জালাল, সাংগঠনিক সম্পাদক নারায়নসহ বেশ কয়েকজনকে মারধর করে। পরে স্বেচ্ছাসেবকলীগের নেতাকর্মীরাও সংগঠিত হয়ে পাল্টা হামলা চালালে উভয় পক্ষে সংঘর্ষে জড়িয়ে পরে এবং এই ঘটনায় অন্তত ১২ জন আহত হয়।
বাঘাইছড়ি উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি আবু নাছের জানান, নিজেদের মধ্যে মারামরির ঘটনা ঘটেছে। সিনিয়রদের সাথে আলোচনা করে তদন্ত কমিটি গঠন করে দোষীদের বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেয়া হবে।
বাঘাইছড়ি উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মোঃ গিয়াস উদ্দিন জানান, খেদারমারা ইউনিয়নের দুরছড়ি বাজারে নিজেদের মধ্যে একটু ঝামেলা হয়েছে। আহতদের চিকিৎসার ব্যবস্থা করছি। বাকিটা পরে জানাবো।
বাঘাইছড়ি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের কর্তব্যরত চিকিৎসক ডাঃ বিশ^জিৎ দাশ জানান, দুই পক্ষের মারামারিতে আহত ১২ জন হাসপাতালে আসলে, ৬ জন গুরুতর থাকায় রেফার করে দেয়া হয় খাগড়াছড়িতে। বাকিদের বাঘাইছড়ি হাসপাতালে চিকিৎসা চলছে।