বাঘাইছড়ি প্রতিনিধি
রাঙামাটির বাঘাইছড়ি পৌরসভার ৩য় পরিষদের সাফল্যের ১ বছরপূর্তি উপলক্ষে এক আলোচনা সভা ও কেক কাটা অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত।
সোমবার বেলা ১১ ঘটিকায় পৌরসভা প্রাঙ্গণে পৌর মেয়র জমির হোসেনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাঘাইছড়ি উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান সুদর্শন চাকমা। বিশেষ অতিথিদের মধ্যে উপজেলা নির্বাহী অফিসার রুমানা আক্তার, উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান আব্দুল কাইয়ুম, সহকারী কমিশনার(ভূমি) মাহাফুজুর রহমান, প্রেসক্লাবের সভাপতি দিলীপ কুমার দাশ, উপজেলা আওয়ামীলীগের সহ সসভাপতি আলী হোসেন, সাধারণ সম্পাদক গিয়াস উদ্দিন মামুন উপস্থিত ছিলেন।
বাঘাইছড়ি প্রেসক্লাবের সদস্য মাহমুদুল হাসান এর সঞ্চালনায় অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন পৌরসভার সচিব(ভারপ্রাপ্ত) অরিন্দম চাকমা, ৭নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর পারভেজ আলী।
বক্তারা বর্তমান পৌর পরিষদের উদ্যোগে বাস্তবায়িত উন্নয়নমূলক কাজ, চলমান কাজ এবং জন্মনিবন্ধনের জটিলতা নিরসনের জন্য ভূয়সী প্রসংশা করেন।
পৌর মেয়র জমির হোসেন বিগত এক বছরে বাঘাইছড়ি পৌরসভার উদ্যোগে জনকল্যাণকর কার্যক্রম সম্পর্কে বিস্তারিত তুলে ধরেন এবং তার আহবানে সারা দিয়ে গত এক বছরে পৌরসভার রেকর্ডময় কর প্রদানে বাঘাইছড়ি পৌরবাসীর প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন। তিনি আরো বলেন বাঘাইছড়ি পৌরবাসী সর্বাত্মক সহযোগীতা করে আসছেন পৌরসভাকে তৃতীয় শ্রেণী হতে দ্বিতীয় শ্রেণীতে উন্নত করার জন্য। তিনি আগামী দিনগুলীতে সকলের
সহযোগীতা কামনা করেন।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে উপজেলা নির্বাহী অফিসার রুমানা আক্তার বলেন, বাঘাইছড়ি উপজেলায় আমি দায়িত্ব গ্রহণ করি সাথে পৌর প্রশাসকের দায়িত্বও পালন করি, নতুন পৌর পরিষদের যে উদ্যোম দেখেছি তাতে বলতে পারি বাঘাইছড়ি পৌরসভা সঠিক নেতৃত্ব পেয়েছে আমি পৌরসভার সাথে সংশ্লিষ্ট সকলের মঙ্গল কামনা করি।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে উপজেলা চেয়ারম্যান সুদর্শন চাকমা বলেন, কাজ করতে গেলে আলোচনা সমালোচনা থাকবে গঠনমূলক সমালোচনা গ্রহণ করে পৌরবাসীর উন্নয়নে কাজ করে যেতে হবে, ৩য় শ্রেণীর পৌরসভাকে ২য় শ্রেণীতে উন্নতি করতে যার যেখান থেকে সহযোগীতা প্রয়োজন আমরা সকলে ঐক্যবদ্ধভাবে চেষ্টা করলে সফলতা আশা করা যায়, বর্তমান পৌর মেয়র ও কাউন্সিলরগণের যে ইচ্ছাশক্তি তা কাজে লাগানোর জন্য আমাদেরকে তাদের উৎসাহিত করতে হবে। তিনি আরো বলেন জনপ্রতিনিধিরা সব চাহিদা কখনো সম্পন্ন করতে পারে না তবুও চেষ্টা চালিয়ে যায় নিজ এলাকার উন্নয়নের জন্য এই চেষ্টা অব্যাহত থাকুক এবং পৌর পরিষদের বাকি চার বছর সাফল্যের সাথে সম্পন্ন করুক এই কামনা করি।