হাবীবুল্লাহ মিসবাহ, রাজস্থলী ॥
রাজস্থলী উপজেলার বাঙ্গালহালিয়া ইউনিয়নের ৯নং ওয়ার্ডের দুর্গম নাইক্যছড়া পাড়ায় প্রায় ২০বছর আগে নির্মিত ১২০ ফুট দৈর্ঘ্যের একটি সেতু ভেঙে জরাজীর্ণ হয়ে পড়েছে। জীবনের ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করছে বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীসহ দুইশ পরিবারের হাজারো মানুষ। পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ডের অর্থায়নে ২০০৪-২০০৫ অর্থবছরে ১২০ ফুট দৈর্ঘ্য এবং ৫ ফুট প্রস্থের এই সেতুটি নির্মাণ করা হয়েছিলো।
মারমা পাড়াটিতে সরেজমিনে দেখা যায়, স্থানীয় জনসাধারণ প্রতিনিয়ত ঝুঁকিপুর্ণ ব্রিজটির ওপর দিয়ে চলাচল করছে। প্রাথমিক বিদ্যালয়, মাধ্যমিক বিদ্যালয়সহ কলেজ পড়ুয়া কোমলমতি শিক্ষার্থীরা অনেকটা ঝুঁকি নিয়ে এই ব্রিজটি দিয়ে চলাচল করে। যার ফলে ঘটতে পারে মারাত্মক দুর্ঘটনা। এছাড়াও বিভিন্ন ধরনের যানবাহন যেমন সিএনজি এবং মোটরসাইকেল চলাচল করতেও দেখা যায় সেতুটি দিয়ে। এর ফলে যেকোন সময় বড় ধরনের দুর্ঘটনা আশঙ্কা রয়েছে।
নাইক্যছড়া পাড়ার কারবারি উসাচিং মারমা বলেন, প্রায় ২০ বছর আগে সেতুটি নির্মাণ হলেও মেরামত বা নতুন করে নির্মাণের কোন উদ্যোগ নেওয়া হয়নি এখনো পর্যন্ত। সেতুর ওপর দিয়ে যেকোন যানবাহন চলাচলের সময় কাঁপতে শুরু করে। এই সেতুর অন্যকোন বিকল্প না থাকায় বাধ্য হয়েই জীবনের ঝুঁকি নিয়ে যাতায়াত করতে হচ্ছে এলাকাবাসীর।
স্থানীয় ইউপি সদস্য থোয়াইসুইমং মারমা বলেন, বাঙ্গালহালিয়া ইউনিয়নের ৯নং ওয়ার্ডের দুর্গম নাইক্যছড়া পাড়ার ব্রিজটি বহু বছর ধরে জরাজীর্ণ অবস্থায় পড়ে রয়েছে এবং পাশের রডের সুলিং ভেঙে পড়েছে। জনসাধারন প্রতিনিয়ত জীবনের ঝুঁকি নিয়ে এই সেতু দিয়ে চলাচল করছে। এই সেতুর সংস্কার মেরামত তৈরি করতে এখনো কোন অধিদপ্তর থেকে কোন বরাদ্দ আসেনি। অনেক সময় ছোট ছোট বাচ্চারা চলাচলের সময় নিচে পড়ে আহত হওয়ার ঘটনাও ঘটেছে বলে জানায় স্থানীয়রা। এছাড়াও জরুরীভাবে গর্ভবতী মহিলারদেরকে বহন করে হাসপাতালে নিয়ে যেতেও অনেক বেগ পোহাতে হয়। এলাকার জনসাধারণের জন্য এই সেতুটি অতি দ্রুত নির্মাণ বা সংস্কার করার জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে দাবি জানাচ্ছি।
এই বিষয়ে স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান আদোমং মারমা জানান, এই প্রকল্পের জন্য বাজেট আসলে তখন সেতুটি নির্মাণ করা হবে।