বিশেষ প্রতিবেদক, বান্দরবান ॥
বান্দরবানে স্ত্রী হত্যার দায়ে স্বামীকে মৃত্যুদন্ডের আদেশ দিয়েছে আদালত। একইসঙ্গে আরও ৫০ হাজার টাকা অর্থদন্ডও প্রদান করা হয়। মৃত্যুদন্ডপ্রাপ্তের নাম- হায়দার আলী (৩৫)। সে রাঙামাটি চন্দ্রঘোনা রাইখালি ইউপির ৫ নম্বর ওয়ার্ডের খন্তাকাটা এলাকার মৃত লতিফুর রহমানের ছেলে। মঙ্গলবার দুপুরে বান্দরবান জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ অরুণ পালের আদালত এই আদেশ দেন।
আদালত তথ্যমতে, ২০২০ সালের সেপ্টেম্বরে রাঙামাটির বাঙ্গারখালিয়া এলাকার নুুরুল ইসলামের মেয়ে রিজিয়া পারভিন ওরফে রুপা আক্তারের সাথে বিয়ে হয় একই জেলার রাইখালি ইউপির মৃত লতিফুর রহমানের ছেলে হায়দার আলীর সাথে। পরে শ^শুর বাড়ি থেকে বাবার বাড়ি বেড়াতে যায় রিজিয়া। সেখান থেকে ২০২১ সালের ৭ আগস্ট বিকাল সাড়ে ৪ টায় বাঙ্গালখালিয়া তার চাচির বাড়ি যাবার কথা বলে ঘর থেকে বের হওয়ার পর থেকে তাকে আর খুঁজে পাওয়া যায়নি। পরদিন ৮ আগস্ট বান্দরবান-রাঙামাটি সড়কের বান্দরবান সদর উপজেলার কুহালং ইউপির গলাচিপা এলাকায় রাস্তার পাশে হাত-পা বাঁধা ও গলা কাটা অবস্থায় তার মরদেহটি পাওয়া যায়। পরে মৃত রাজিয়ার বাবা নুরুল ইসলাম বাদি হয়ে ওই দিন রিজিয়ার কথিত প্রাক্তন প্রেমিক কাজল হোসেনের বিরুদ্ধে বান্দরবান সদর থানায় মামলা দায়ের করলেও পুলিশের তদন্তে রিজিয়া পারভিন হত্যা কান্ডে স্বামী হায়দার আলী’র সম্পৃক্ততা পায়। পরে আদালতে বিভিন্ন সাক্ষ্য প্রমাণ গ্রহণে এই হত্যাকান্ড রিজিয়ার স্বামী হায়দার আলী ঘটিয়েছে তা প্রমাণিত হওয়ায় বাদি পক্ষের আবেদনের প্রেক্ষিতে আদালতের বিচারক আজ এই রায় প্রদান করেন।
বিষয়টি নিশ্চিত করে রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী বান্দরবান পাবলিক প্রসিকিউটর(পিপি) আইনজীবী মোহাম্মদ আলমগীর চৌধুরী জানান, হত্যা মামলাটি প্রমাণিত হওয়ায় আসামি হায়দার আলীকে দন্ডবিধি ৩০২ ধারায় সর্বোচ্চ শাস্তি হিসেবে মৃত্যুদন্ড প্রদান করেছে আদালতের বিচারক অরুণ পাল। একই সাথে ৫০ হাজার টাকা অর্থদন্ড ও অনাদায়ে আরও ২ মাস কারাদন্ড প্রদান করেন।