জিয়াউল জিয়া
বেগম খালেদা জিয়া’র মুক্তি এবং উন্নত চিকিৎসার জন্য বিদেশ প্রেরণের দাবিতে অনশন কর্মসূচি পালন করে রাঙামাটি জেলা বিএনপি। শনিবার সকালে কাঁঠালতলীস্থ দলীয় কার্যালয়ে দুপুর পর্যন্ত চলে এই কর্মসূচি। কর্মসূচি চলাকালীন এক পর্যায়ে স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতাকর্মীদের মধ্যে হাতাহাতি ঘটনা ঘটে। পরে সিনিয়র নেতৃবৃন্দের চেষ্টার পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে।
তবে সূত্র থেকে জানা যায়, সম্প্রতি কেন্দ্র থেকে জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের কমিটি ঘোষণা করা হয়। সেই কমিটিতে নাছির উদ্দিন সদস্য সচিব পদে দায়িত্ব পান। কমিটি ঘোষণার পর থেকে পদ বঞ্চিত নেতাকর্মীদের মধ্যে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়। দীর্ঘ তিন মাস পর অনশন কর্মসূচিতে সদস্য সচিব যোগদানকে কেন্দ্র করে স্বেচ্ছাসেবক দলের দুই পক্ষের হাতাহাতির ঘটনা ঘটে।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন কেন্দ্রীয় বিএনপি’র সহ-ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক অ্যাড. দীপেন দেওয়ান, অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন রাঙামাটি জেলা বিএনপি’র সভাপতি দীপেন তালুকদার (দীপু), সাধারণ সম্পাদক অ্যাড. মামুনুর রশিদ মামুন, সাবেক পৌর মেয়র সাইফুল ইসলাম (ভুট্টো) প্রমুখ।
অনশন কর্মসূচিতে জাতীয়তাবাদী দল, অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের বিভিন্ন স্তরের নেতাকর্মী বক্তব্য রাখেন।
এসময় বক্তারা বলেন, এখন খালেদা জিয়াকে বাঁচাতে হলে উন্নত চিকিৎসা দরকার। ডাক্তাররা বলেছেন যা দেশে সম্ভব না। আমরা অনেকদিন ধরেই তাকে বিদেশে নেওয়ার কথা বলছি। কিন্তু সরকার কর্ণপাত করছে না। এখন একেবারে শেষ সময় চলে এসেছে। অবিলম্বে বিদেশে নেওয়া দরকার, না হলে তাকে বাঁচানো যাবে না।
রাঙামাটি জেলা বিএনপি’র সাধারণ সম্পাদক অ্যাড. মামুনুর রশিদ মামুন বলেন, যার বিএনপি’র কর্মসূচির অনুষ্ঠানে নিজেদের মধ্যে হাতাহাতি করে তারা আওয়ামী লীগের এজেন্ট ছাড়া আর কিছুই না। আমাদের একটি লক্ষ্য আগামী প্রিয় নেত্রীর মুক্তি ও উন্নত চিকিৎসার ব্যবস্থা করা।
রাঙামাটি জেলা বিএনপি’র সভাপতি দীপেন তালুকদার (দীপু) বলেন, আমরা এখনো এই অবৈধ সরকার মিথ্যা মামলা দিয়ে দেশের সবচেয়ে জনপ্রিয় নেত্রীকে একটি সাজানো মামলায় বন্দী করে রেখেছে। আমরা শান্তিপূর্ণভাবে কর্মসূচি পালন করছি, কিন্তু এটা আমাদের দুর্বলতা না। অনশন কর্মসূচি থেকে আমরা ঘোষণা দিতে চাই-নেত্রীর কিছু হলে বাংলা জনগণকে সাথে নিয়ে কোন অঘটনের জন্য এই সরকারকে দায়ী করে ভয়ংকর প্রতিশোধ নেয়ার হুঁশিয়ারি দেয়া হয় অনশন কর্মসূচিতে।