মাহমুদুল হাসান, বাঘাইছড়ি
সাজেকের সাত বছরের শিশু রোমিও ত্রিপুরার অপারেশন বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ বিজিবি বাঘাইহাট ব্যাটালিয়নের সহায়তায় চট্টগ্রাম মেডিকেলে সম্পন্ন হয়েছে। রোমিও ত্রিপুরার জ্ঞান ফিরেছে, সে বর্তমানে কথা বলতে পারছে। রাঙামাটির বাঘাইছড়ি উপজেলার সাজেক ইউনিয়নের দুর্গম গণ্ডাছড়া এলাকার মাইলং পাড়ায় পাহাড়ি আঞ্চলিক সশস্ত্র সংগঠন প্রসীত বিকাশ খীসা নেতৃত্বাধীন ইউনাইটেড পিপলস ডেমোক্রেটিক ফ্রন্ট (ইউপিডিএফ) ও সন্তু লারমা নেতৃত্বাধীন জনসংহতি সমিতির দুই গ্রুপের গোলাগুলিতে রোমিও ত্রিপুরা আহত হয়।
শিশুটির বাবা ফবেন ত্রিপুরা জানিয়েছেন, রোমিও ত্রিপুরার জ্ঞান ফিরেছে, সে এখন কথা বলতে পারছে। চিকিৎসক নিশ্চিত করেছেন রোমিও ত্রিপুরা এখন বিপদমুক্ত। এজন্য রোমিও ত্রিপুরার বাবা ফবেন ত্রিপুরা বিজিবি’র প্রতি কৃতজ্ঞতা ও ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেছেন।
সাজেক ইউনিয়নের ৯নং ওয়ার্ড মেম্বার জৌপুইথাং ত্রিপুরা সূত্রে জানা যায়, গত ১১ ফেব্রæয়ারি আনুমানিক দুপুর ২টায় সাজেক ইউনিয়নের শিয়ালদহ মৌজার ৯নং ওয়ার্ডের ত্রিপুরা গ্রাম মাইলং পাড়ায় জেএসএস ও ইউপিডিএফের সশস্ত্র দলের সঙ্গে গুলি বিনিময়ের ঘটনা ঘটে। এ সময় বাড়ির উঠানে খেলা করতে থাকা অবস্থায় তলপেটে গুলিবিদ্ধ হয়ে মারাত্মকভাবে আহত হয় শিশু রোমিও ত্রিপুরা। এরপর পিতা ফবেন ত্রিপুরা শিশু রোমিও ত্রিপুরাকে সাজেকে নিয়ে আসে। পরে বাঘাইহাট ব্যাটালিয়নের (৫৪ বিজিবি) অধিনায়ক ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশনায় দ্রুত চিকিৎসার ব্যবস্থা করে। এ সময় সাজেকে অধিনায়ক (২৭ বিজিবি ও ৫৪ বিজিবি’র) উপস্থিতিতে প্রত্যক্ষ তত্ত¡াবধানে কমিউনিটি ক্লিনিকে ৫৪ বিজিবি’র মেডিকেল অফিসার ও বাঘাইছড়ি স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সর চিকিৎসকরা মুমূর্ষু শিশুটিকে চিকিৎসা প্রদান করেন। পরবর্তীতে তার পরিবারকে ৫৪ বিজিবি’র উদ্যোগে আর্থিক সহায়তাসহ শিশুটিকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। ১২ ঘন্টার মধ্যে একজন শিশুকে সঠিক চিকিৎসা নিশ্চিতের জন্য শিশুটি শঙ্কামুক্ত হয়।
উক্ত চিকিৎসা সহায়তা প্রদানে বিজিবির বিভিন্ন কর্মকর্তাদের নির্দেশে মারিশ্যা ব্যাটালিয়ন (২৭ বিজিবি) ও বাঘাইহাট ব্যাটালিয়ন (৫৪ বিজিবি) এর অধিনায়কদ্বয় প্রত্যক্ষভাবে চিকিৎসা সহায়তায় সম্পৃক্ত ছিলেন। বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ সীমান্ত রক্ষার পাশাপাশি জনকল্যাণে সর্বদা নিজেদের নিয়োজিত রেখেছে।