মিল্টন চাকমা, মহালছড়ি ॥
ভরা মৌসুমেও বৃষ্টি কম হওয়ায় খাগড়াছড়ি জেলার মহালছড়িতে আমন চাষ ব্যহত হওয়ার আশংকা করছেন চাষীরা। নিচু জমিতে জমানো পানি দিয়ে কিছু রোপণ করতে পারলেও কিছুটা উঁচু জমিগুলো অনাবাদী থেকে যাচ্ছে। কেউ কেউ নিচু জমিগুলো রোপণের চেষ্টা করলেও পানির অভাবে বীজতলা তুলতে পারছেন না। এখানকার জমিগুলো পাহাড়ি এলাকা হওয়ায় বেশীরভাগ জমিতে সেচ দিয়ে চাষাবাদ করবে তারও কোন উপায় নেই। মূলত বৃষ্টির জমানো পানি দিয়ে রোপা আমনের চাষ করে থাকেন কৃষকেরা।
সরেজমিনে গিয়ে মুবাছড়ির আদুফা পাড়া, মেশিন পাড়া, খামার পাড়া, মাইসছড়ির পশ্চিম মানিকছড়ি, পূর্ব মানিকছড়ি, ক্যায়াংঘাটসহ কয়েকটি জায়গায় ঘুরে দেখা যায়, পানির অভাবে বেশিরভাগ জমি অনাবাদী পড়ে আছে। নিচু জমিগুলো রোপণের চেষ্টা করলেও পানির অভাবে বীজতলার চারা তুলতে পারছেন না। এ বীজতলার চারার বয়স বেশি হলে সেই চারা রোপণ করলে ভালো ফলন নাও হতে পারে বলে আশংকা করছেন কৃষকেরা।
মুবাছড়ির মেশিন পাড়া গ্রামের কৃষক দিপান্তর চাকমা তন্তু বলেন, ৬ বিঘা জমি চাষাবাদ করার প্রস্তুতি নিয়েছিলাম কিন্তু জমিতে পানি না থাকায় বিপাকে পড়েছি। জমিতে সেচ দেওয়ার মতো নদী কিংবা খালও নেই। এখন শুধু আকাশের পানে তাকিয়ে আছি কখন বৃষ্টি হবে।
এদিকে মাইসছড়ির পশ্চিম মানিকছড়ি গ্রামের পাওয়ার টিলারের মালিক সন্তোষ ময় চাকমা বলেন, প্রতিবছর এ সময়ে দিনে ও রাতে বীজতলা রোপণের জন্য চাষ যোগ্য জমি তৈরি করার কাজে ব্যস্ত থাকতাম কিন্তু এ বছর বৃষ্টি না হওয়ায় কাজের কোন চাপ নেই। বৃষ্টি হলে তারপর জমিতে কাজের চাপ পড়বে।
মহালছড়ি উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ সহকারি উদ্ভিদ সংরক্ষণ কর্মকর্তা তৃপ্তিকর চাকমা বলেন, এ বছর আমন চাষে ২ হাজার ৫ শত ৪২ হেক্টর কৃষি জমি চাষাবাদের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে। সময়মতো বৃষ্টি না হওয়ায় এ পর্যন্ত ১৫ শতাংশ জমিতে চাষাবাদ হয়েছে। আশা করছি আগামী সপ্তাহ থেকে বৃষ্টি হবে। এবারে বৃষ্টি না হওয়ায় আমন চাষ কিছুটা দেরিতে হলেও লক্ষ্যমাত্রা ব্যাহত হবে না বলে মনে করছেন তিনি।