বাংলাদেশ বেতার রাঙ্গামাটি আঞ্চলিক কেন্দ্রের দায়িত্বরত প্রধান প্রকৌশলী মো. আবু সায়েদের বিরুদ্ধে যৌন নির্যাতনের অভিযোগ করেছেন বেতারের একজন অনিয়মিত শিল্পি।
ভুক্তভোগী সেই শিল্পি বাংলাদেশ বেতারের মহাপরিচালক বরাবর লিখিত অভিযোগ প্রদান করেছেন এবং সেই অভিযোগের তদন্ত শুরু করেছে প্রতিষ্ঠানটি।
অভিযোগ পত্রে ভুক্তভোগী বলেন, ‘ প্রকৌশলী মো. আবু সায়েদ এর সহযোগিতায় তিনি চাকরি পান। তার পরবর্তী সময়ে আবু সায়েদ তার চাকরি দেয়ার সুবাধে সুযোগ নিয়ে বিভিন্ন ভাবে যৌন হয়রানির চেষ্টা করেন। তার এমন আচারণে গত বছরের ৮ আগস্ট আত্মহত্যার চেষ্টা করেন ভুক্তভোগী। পরে আবু সায়েদ তাকে হাসপাতালে ভর্তি করান এবং ভুক্তভোগীর কাছে ঘটনার জন্য মাফ চান। কিন্তু এর কিছুদিন যেতে না যেতে আবু সায়েদ পুনরায় তাকে বিরক্ত করতে থাকেন এবং চাকরি খেয়ে দেওয়ার হুমকি দেন।
তিনি এতে আরও বলেন, সর্বশেষ গত এপ্রিল মাসের ২৭ তারিখ আবু সায়েদ ভুক্তভোগীর বাসায় এসে তার সাথে শারীরিক সম্পর্ক করেন । এ সময় ভুক্তভোগী চিৎকার করলে প্রকৌশলী পালিয়ে যান। ঘটনার পর ভুক্তভোগী আবু সায়েদকে বিয়ে করার জন্য চাপ দিলে প্রকৌশলী তার সব আশা পূর্ণ হবে বলে আশ্বাস দেন। কিন্তু পরর্বতীতে তিনি বিশ্বাস ভঙ্গ করেন ভুক্তভোগীর। যার পরিপ্রেক্ষিতে গত ৪ মে আবু সায়েদ জানান সে ভুক্তভোগী নারীর জন্য সব কিছু করতে পারবে তবে বিয়ে করতে পারবেন না। এই ঘটনার পর ভুক্তভোগী কান্নাকাটি ও সুইসাইড করবে বল্লে আগের থেকে সেখানে উপস্থিত থাকা প্রকৌশল শাখার কর্মচারী রাকিব, হারুন, রিপন, আলী তাকে মারধর করেন এবং মিথ্যা স্টেটম্যান ও সাদা কাগজে সই নেয়।
এঘটনার অভিযোগ পত্র পেয়ে মহাপরিচালকের নির্দেশে তিন জনের একটি তদন্ত টিম রাঙ্গামাটিতে গতকাল শনিবার (১৩ মে) সরজমিনে তদন্ত করতে আসেন। তারা হলেন- পরিচালক এসএম আবুল হোসেন, প্রকৌশলী ভাষ্কর দেওয়ান এবং শরিফুল ইসলাম।
তদন্তের বিষয় নিশ্চিত করে বাংলাদেশ বেতার রাঙ্গামাটি আঞ্চলিক কেন্দ্রের উপ-পরিচালক (ভা:) মোহাম্মদ সেলিম জানান, একজন অনিয়মিত শিল্পি প্রকৌশলী আবু সায়েদের বিরুদ্ধে যৌন হয়রানীর অভিযোগ এনে মহাপরিচালক বরাবর অভিযোগ পত্র প্রদান করেন। যার কারণে গতকাল শনিবার তিন জনের একটি তদন্ত টিম রাঙ্গামাটিতে আসেন। তারা ভিকটিম, অভিযুক্ত প্রকৌশলী সহ অন্যদের সাথে কথা বলেন। এ তদন্তের রিপোর্ট তারা মহাপরিচালক মহোদয়কে প্রদান করবেন।
এদিকে অভিযুক্ত প্রকৌশলী মো. আবু সায়েদ এর সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, একটি তদন্ত টিম এসে তদন্ত করে গেছে। বিষয়টি বিভাগীয় তদন্তে আছে, তদন্তে থাকা বিষয় নিয়ে আমি কোন মন্তব্য করবো না।