জিয়াউল জিয়া ও সাইফুল হাসান
বেপরোয়া বাসের আঘাতে তছনছ সিএনজির ৬ যাত্রীর ২ জনই ঘটনাস্থলে নিহত এবং বাকি ৪ জনের প্রত্যেকেই কমবেশি গুরুতর আহত হয়েছেন। সবাইকে তাৎক্ষনিক রাঙামাটি সদর হাসপাতালে নেয়া হলেও এদের মধ্যে তিনজনের অবস্থা বেশি শংকার হওয়ায়,তাদের উন্নত চিকিৎসার জন্য চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
শনিবার দুপুর আড়াইটার দিকে রাঙামাটি শহরে প্রবেশ করেই ভেদভেদী বাজারের মুখে সড়কের পাশে সংস্কার কাজের ঢালাই মেরামত করার কাজ চলায় সামনে এগোতে না পেরে দাঁড়িয় ছিলো যাত্রীবাহি সিনএনজি অটোরিক্সাটি (রাঙামাটি থ-৭৬৫)। এসময় চট্টগ্রাম থেকে আসা রাঙামাটি-চট্টগ্রাম যাত্রী পরিবহনকারি ‘খাজা গরীবে নেওয়াজ’ নামের চট্টমেট্রো-জ-১১-০০১৮ বাসটি সজোরে আঘাত করে সিএনজিটিকে। এতে মুহুর্তেই তছনছ হয়ে যায় অটোরিক্সাটি। ঘটনাস্থলেই প্রাণ হারান দুইজন। এরা হলেন পরিমিলা চাকমা ও গুরিমালা চাকমা। আহত বাকি চারজনকে স্থানীয় রাঙামাটি হাসপাতালে নিয়ে যান। এরা হলেন রিপন চাকমা, রিকন চাকমা,পিন্টু চাকমা ও পরী চাকমা। এদের মধ্যে ৩ জনের অবস্থা খুবই আশংকাজনক হওয়ায় চট্টগ্রামে পাঠানো হয়।
ভেদভেদী বাজার ব্যবসায়ি সমিতির সাধারন সম্পাদক মাসুদুল হক জানিয়েছেন, ‘অটোরিক্সাটি দাঁড়িয়ে ছিলো। বাসটি অযথাই দ্রুত গতিতে এসে পেছন থেকে ভয়ংকরভাবে আঘাত করে। এতেই এই দূর্ঘটনাটি ঘটেছে। আমরা দ্রুত সবাইকে হাসপাতালে নিয়ে যাই।’
রাঙামাটি সদর হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসক ডাঃ শওকত আকবর জানিয়েছেন, হাসপাতালে যাদের আনা হয়,তাদের ২ জন আগেই মারা গেছিলেন। আহতদের মধ্যে তিনজনের অবস্থা খুবই খারাপ থাকায় তাদের আমরা চট্টগ্রামে রেফার করেছি। বাকি ১ জনকে রাঙামাটি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। ’
রাঙামাটির কোতয়ালি থানার অফিসার ইনচার্জ আরিফুল আমিন জানিয়েছেন, ‘প্রাথমিকভাবে আমরা জেনেছি,দাঁড়িয়ে থাকা অটোরিক্সাটিকে আঘাত করেছে বাসটি। বাসটিকে আটক করা হয়েছে। চালক পালিয়ে গেছে। এই বিষয়ে যথাযথ আইনী প্রক্রিয়া অনুসরন করা হবে।’