নিজস্ব প্রতিবেদক ॥
নবগঠিত রাঙামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদে কাউখালী,বরকল, জুরাছড়ি ও রাজস্থলী উপজেলার কোনও প্রতিনিধিত্ব না থাকায় ক্ষোভ প্রকাশ করে প্রতিটি উপজেলা থেকে প্রতিনিধিত্ব নিশ্চিত করার দাবি জানিয়েছে চার উপজেলা বাসিন্দারা। বুধবার(২০ নভেম্বর) সকালে রাঙামাটি জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে প্রধান উপদেষ্টা বরাবরে স্মারকলিপি প্রদানকালে বক্তারা এই দাবি জানান।
স্মারকলিপিতে উল্লেখ করেন, কিছুদিন পূর্বে রাঙামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদ পুনর্গঠন করা হয় যেখানে ১০টি উপজেলার মধ্যে শুধুমাত্র ৬টি উপজেলার ১৫ সদস্য নিয়োগ দিয়ে কাউখালী, বরকল, জুরাছড়ি ও রাজস্থলী উপজেলার কোনও প্রতিনিধি না রেখে এলাকাবাসীর সাথে চরম বৈষম্যমুলক আচরণ করা হয়েছে। এছাড়া রাঙামাটি সদর উপজেলা হতে ৯ জন সদসকে রেওয়াজ বহির্ভূতভাবে নিয়োগ প্রদান করে স্বজনপ্রীতি ও ফ্যাসিস্ট মানসিকতাকে প্রতিষ্ঠিত করা হয়েছে।
এতে উল্লেখ করা হয়, পুনর্গঠিত পরিষদে অধিকাংশ সদস্যই বিগত সরকারের সুবিধাভোগী ও আওয়ামীলীগের নেতাকর্মীদের স্বজন। একই পরিবারের একাধিক সদস্য এবং হত্যা মামলার চার্জশিটভুক্ত পলাতক আসামিও পরিষদে অন্তর্ভূক্ত রয়েছে।
পুনর্গঠিত অন্তর্বর্তীকালীন রাঙামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদের মনোনীত সদস্যদের নিয়োগ বাতিলপূর্বক কাউখালী, বরকল, জুরাছড়ি ও রাজস্থলী উপজেলার প্রতিনিধিত্বমুলক সদস্য নিয়োগ দিয়ে অন্তর্বর্তীকালীন রাঙামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদ পুনর্গঠন করে নতুনভাবে প্রজ্ঞাপন জারির দাবি জানানো হয়। এর আগে বিভিন্ন মাধ্যমে পুনর্গঠিত পরিষদের বিষয়ে পার্বত্য মন্ত্রণালয়ের দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলেও তারা বিষয়টি ভ্রক্ষেপ করছেন না বলেও অভিযোগ করেন। যদি দাবি মানা না হয় তবে কঠোর আন্দোলনের হুঁশিয়ারি দেন তাঁরা।
স্মারকলিপি প্রদানকালে উপস্থিত ছিলেন এডভোকেট রাজীব চাকমা, মো. জসিম উদ্দিন, মো. তারা মিয়া, পুলিন বিহারী চাকমাসহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ।