মো. ইসমাইল,পানছড়ি ॥
বাংলাদেশ আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনী ভিডিপি’র ইউনিয়ন দলনেত্রী জ্যোৎস্না বেগম। বসবাস করেন খাগড়াছড়ির পানছড়ি উপজেলার ৩নং সদর ইউপি-র মোহাম্মদপুর গ্রামে। তিন সন্তানের জনক জ্যোৎস্না বেগম আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনীর প্রশিক্ষণাদি গ্রহণ করে যোগ দেন সদর ইউপি-র মহিলা দলনেত্রী হিসেবে। দীর্ঘ পথের এই পথচলায় দলনেত্রী হিসেবে কাজের পাশাপাশি সংসারের উন্নতির যোগান দিতে হয়েছেন উদ্যোক্তাও।
বর্তমানে তিনি একজন সফল উদ্যোক্তা। হাঁস-মুরগি, কবুতর, গরু-ছাগল, মৎস্য খামার করে সফল তিনি। পাশাপাশি কৃষিজ ফলনেও তিনি সফল। উপজেলা কৃষি অফিস হতে প্রশিক্ষণ গ্রহণ করে নিজস্ব তিন একর ভূমিতে আ¤্রপালি, লিচুসহ বিভিন্ন জাতের ফলদ বাগানের পাশাপাশি পাঁচ একর ভূমিতে সেগুন বাগান আবাদ করেছেন।
মৎস্য অধিদপ্তর হতে প্রশিক্ষণ গ্রহণ করে নিজে মৎস্য চাষ করছেন এবং এলাকার হত-দরিদ্র শিক্ষিত বেকার যুবক-যুবতিদের উদ্যোক্তা হিসেবে গড়ে তুলার লক্ষ্যে নিজস্ব অর্থায়নে বিভিন্ন মাছের পোনা বিতরণ করেন।
এছাড়াও করোনাকালীন টিকাদান কর্মসূচির সময় আইনশৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণের জন্য বিভিন্ন টিকাদান কেন্দ্রে ডিউটি করেন। একাধারে তিনি প্রশিক্ষণ প্রাপ্ত ধাত্রী হিসেবে মহিলাদের প্রসবকালীন সময়ে পাশে থেকে প্রসব কাজে সহযোগিতা করেন এবং প্রসব যন্ত্রণায় বিপদজনক রোগীকে হাসপাতালেও নিয়ে যান।
এখানেই যেন তিনি দমে যাননি। পরিচিতি পেয়েছেন সমাজসেবক হিসেবেও। সমাজের দরিদ্র মহিলাদের একসঙ্গে সমবেত করে উৎসাহ দেন সামাজিক উন্নয়ন সাধিত করতে। এতে আগ্রহী হয়ে অনেকে ইতোমধ্যেই উদ্যোক্তা হবার পথ বুনছেন। আগ্রহ ও চেষ্টার কোনো কমতি রাখেননি তিনি। আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনীর প্রতি স্মরণ রেখে নিজের সর্বোচ্চটুকু দিয়ে এই বয়সেও লড়ে যাচ্ছেন জ্যোৎস্না বেগম।
৪,৫ ও ৬ নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য রহিমা বেগম জানান, তিনি ইউনিয়নের মহিলাদেরকে সাবলম্বী করার লক্ষ্যে বিভিন্ন এলাকায় উঠান সভা করে থাকেন। উনি নিজ দায়িত্বে আমার উপস্থিতিতে দরিদ্র পরিবারের সেলাই প্রশিক্ষণ প্রাপ্ত দুজন নারীকে নিজ খরচে দুটি সেলাই মেশিন উপহার দিয়েছেন। তাছাড়া তিনি আমার আওতাধীন ওয়ার্ডের পাঁচটি স্থানে নিজ খরচে অন্ধকার রাস্তা আলোকিত করতে সোলার লাইট স্থাপন করেন। তাঁর এমন কাজে এলাকার সাধারণ মানুষ উপকৃত হয়েছে বলে আমি মনে করি।