জিয়াউল জিয়া ॥
রাঙামাটির ভূষণছড়া গণহত্যার সুষ্ঠু তদন্ত ও খুনিদের বিচার এবং ক্ষতিগ্রস্তদের পুনর্বাসনের দাবিতে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে। বুধবার বেলা ১২ টায় রাঙামাটি শহরের বনরুপা এলাকায় বিভিন্ন ফেস্টুন ও ব্যানার নিয়ে অনুষ্ঠিত ঘণ্টাব্যাপী মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। মানববন্ধনে উপস্থিত ছিলেন পার্বত্য চট্টগ্রাম নাগরিক পরিষদের কেন্দ্রীয় কমিটির চেয়রাম্যান কাজী মজিবর রহমান, সাধারণ সম্পাদক আলমগীর কবির, জেলা কমিটির সাধারণ সম্পাদক মো. সোলায়মান, সাংগঠনিক সম্পাদক আবু বক্কর সিদ্দীক, পার্বত্য চট্টগ্রাম ছাত্র পরিষদের কেন্দ্রীয় কমিটির সিনিয়র সহ-সভাপতি মো. হাবিব আজম প্রমুখ।
মানববন্ধন বক্তারা বলেন, ভূষণছড়া গণহত্যাসহ পাহাড়ে অসংখ্য বর্বরোচিত ঘটনার শিকার হয়েছে পার্বত্য অঞ্চলের বাঙালিরা। কিন্তু আজ পর্যন্ত কোন হত্যাকান্ডের বিচার করা হয়নি। উল্টো পাহাড়ে প্রতিনিয়ত অবৈধ অস্ত্র ও সন্ত্রাসী কার্যক্রমের সংখ্যা দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। সাধারণ পাহাড়ি ও বাঙালি উভয়ই এই সকল সন্ত্রাসীদের অব্যাহত হত্যা, চাঁদাবাজি ও নির্যাতনে অতিষ্ঠ। তাই পাহাড়ে কাক্সিক্ষত শান্তির সুবাতাস ফিরিয়ে আনতে পাহাড়ে অবৈধ অস্ত্রের ঝনঝনানী, হত্যা, গুম,খুন, ধর্ষণ ও চাঁদাবাজির বিরুদ্ধে এখনই রাষ্ট্রীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে। একই সাথে ভূষণছড়া গণহত্যার সুষ্ঠু তদন্ত ও খুনিদের বিচার এবং ক্ষতিগ্রস্তদের পূর্ণবাসনের দাবিও জানানো হয় সমাবেশ থেকে।
পার্বত্য চট্টগ্রাম নাগরিক পরিষদের কেন্দ্রীয় কমিটির চেয়রাম্যান কাজী মজিবর রহমান বলেন, পাকিস্তানিরা ১৯৭১ সালে যেভাবে ঘুমন্ত মানুষের উপর নির্মমভাবে হত্যাকান্ড চালিয়েছিলো। ঠিক তেমনি ১৯৮৪ সালে ৩১ মে রাঙামাটি জেলার বরকল উপজেলার ভূষণছড়া ও তার পার্শ্ববর্তী এলাকার তৎকালীন শান্তি বাহিনীর হাতে নির্মমভা খুন হয় চার শতাধিক নিরীহ বাঙালী নারী-পুরুষ। সেইসব পরিবারের খোজ কেউ রাখে না। ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলোকে পূর্ণবাসন করার জোর দাবি জানাই।
প্রসঙ্গত, ১৯৮৪ সালের এই দিনে রাঙামাটি জেলার বরকল উপজেলার ভূষণছড়া ও তার পার্শ্ববর্তী এলাকার তৎকালীন শান্তি বাহিনীর হাতে খুন হওয়া চার শতাধিক নিরীহ বাঙালী নারী-পুরুষকে নির্মমভাবে হত্যার পরবর্তী দীর্ঘ ৩৯ বছরের বিচার পায়নি নিহতদের স্বজনরা। নিহতের স্মরণে প্রতি বছর এই দিনটিতে বিভিন্ন প্রতিবাদ কর্মসূচি পালন করে হত্যাকারিদের গ্রেফতারের দাবি জানিয়ে আসছে বাঙালিভিত্তিক সংগঠনগুলো।