নিজস্ব প্রতিবেদক, মাটিরাঙ্গা ॥
মাটিরাঙ্গা উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাক্তার মো. খায়রুল আলমের বিরুদ্ধে অনিয়ম, দুর্নীতি, স্বেচ্ছাচারিতা ও সরকারি গাছ নিধনের প্রতিবাদে তার অপসারণ ও হাসপাতালের ৫০ শয্যা উন্নতি করার দাবিতে মানববন্ধন করেছেন মাটিরাঙ্গা উপজেলার সর্বস্তরের জনগণ।
মানববন্ধন পরিচালনা কমিটির আহবায়ক ও সাবেক ছাত্রলীগ নেতার মো. সাইফুল ইসলামের সভাপতিত্বে রোববার সকাল ১০টার দিকে মাটিরাঙ্গা উপজেলার সর্ববস্তরের জনগণের অংশগ্রহণে মুক্তিযোদ্ধা চত্বরে চট্টগ্রাম-খাগড়াছড়ি আঞ্চলিক মহাসড়কের দুই পাশে মানববন্ধন করা হয়।
মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মো: আলী হোসেন, মাটিরাঙ্গা উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি তসলিম উদ্দিন রুবেল, পার্বত্য চট্টগ্রাম নাগরিক পরিষদের মাটিরাঙ্গা উপজেলা সভাপতি মো: রবিউল হোসেন, পার্বত্য চট্টগ্রাম নাগরিক পরিষদের মাটিরাঙ্গা পৌর আহ্বায়ক ওসমান চিশতী, মো: আবুল কালাম আজাদ প্রমুখ।
মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, ডা: খায়রুল আলমের বিরুদ্ধে বিভিন্ন অনিয়ম, দুর্নীতির ও স্বেচ্ছাচারিতার অভিযোগ করে বলেন, গত ১০ বছর ধরে নানা দুর্নীতি করে যাচ্ছেন এ কর্মকর্তা। তার অনিয়মে স্বাস্থ্যসেবা বঞ্চিত হচ্ছেন মাটিরাঙ্গা এলাকাবাসী। হাসপাতাল অভ্যন্তরে অপরিষ্কার ,অপরিচ্ছন্ন পরিবেশ, ড্রেনেজ অব্যবস্থাপনায় জমানো পানি মশার কারখানায় পরিণত হয়েছে।
তারা আরো বলেন, হাসপাতালের অবকাঠামোগত কোন উন্নয়ন হয়নি। কাগজপত্রে ৩০ শয্যার হাসপাতাল দেখানো হলেও বাস্তবে রয়েছে ১০ শয্যা। এসময় উপজেলার ৭টি ইউনিয়নের প্রায় ২লক্ষ মানুষের স্বাস্থ্য সেবায় হাসপাতালকে ৫০ শয্যায় উন্নিত করার দাবি জানানো হয় এই মানববন্ধন থেকে।
এদিকে সরকারি নিয়মনীতির তোয়াক্কা না করে ক্ষমতার অপব্যবহার করে ২১টি গাছ কাটায় হাসপাতাল ঘিরে জনমনে চরম ক্ষোভ ও অসন্তোষ দেখা দিয়েছে। মানববন্ধন হতে ঘটনার সঠিক তদন্ত সাপেক্ষে ডাক্তার খায়রুল আলমের শাস্তি ও সাতদিনের মধ্যে অপসারণের দাবি জানানো হয়। অন্যথায় হাসপাতাল ঘেরাওসহ আরো কর্মসূচি দেয়ার ঘোষণা দেন বক্তারা।
এসময় এলাকার সর্বস্তরের জনসারণ উপস্থিত ছিলেন। মানববন্ধন কর্মসূচি শেষে মাটিরাঙ্গা উপজেলা নির্বাহী অফিসারের মাধ্যমে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের সচিব বরাবর লিখিত স্মারকলিপি প্রদান করা হয়।
এদিকে স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাক্তার খায়রুল আলমের কর্মস্থল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে গিয়ে তাকে পাওয়া যায়নি এবং তার মুঠোফোনে অনেকবার কল করার পরও তার মুঠোফোনটি রিসিভ করেনি এই কারণে ডা. খায়রুল আলমের বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।