নিজস্ব প্রতিবেদক, মাটিরাঙ্গা ॥
খাগড়াছড়ির মাটিরাঙ্গা উপজেলার বাংলাদেশ-ভারত সীমান্ত দিয়ে ফের নারী, পুরুষ ও শিশুসহ আরো ১৩ জনকে পুশইন করেছে ভারতীয় সীমান্ত রক্ষী বাহিনী (বিএসএফ)।
বৃহস্পতিবার ভোর ৪টার দিকে মাটিরাঙ্গা উপজেলার তানাক্কাপাড়া সীমান্তবর্তী দিয়ে তাদের পুশইন করা হয়। বর্তমানে তাঁরা স্থানীয় বিজিবি ক্যাম্পের তত্বাবধানে স্থানীয় একটি পাড়া কেন্দ্র স্কুলে অবস্থান করছে। এরমধ্যে পুরুষ ২জন নারী ৫ জন ও শিশু ৬জন, মোট ১৩জন হলো দুই পরিবারের সদস্য। প্রাথমিকভাবে ১২জন নড়াইল ও একজন যশোরের বাসিন্দা বলে জানা গেছে।
মাটিরাঙ্গা তবলছড়ি ইউনিয়ন পরিষদের প্রশাসনিক কর্মকর্তা মো: ওসমান আলী বলেন, পুশইন হওয়ারা ভারতের মহারাষ্ট্রে ইটভাটা এবং রাজমিস্ত্রী হিসেবে কাজ করতেন বলে জানিয়েছেন। তাদের কেউ ২০ বছর কেউবা ৯ বছর আগে ভারতে যান বলেও জানান তিনি।
বিষয়টি নিশ্চিত করে মাটিরাঙ্গা উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) মনজুর আলম বলন, বৃহস্পতিবার ভোরে প্রচন্ড বৃষ্টি হচ্ছিল। বৃষ্টির মধ্যেই ভারতীয় সীমান্ত রক্ষী বাহিনী (বিএসএফ) নারী, পুরুষ ও শিশুসহ ১৩ জনকে জোরপূর্বক পুশইন করেন। পুশইন করা ১৩জন বর্তমানে বিজিবি ক্যাম্পের তত্ত্বাবধানে স্থানীয় একটি পাড়া কেন্দ্র স্কুলে অবস্থান করছে তারা বিজিবির হেফাজতে রয়েছে। তাদের পরিচয় যাচাই-বাছাই করা হয়েছে। তারা সবাই বাংলাদেশি নাগরিক সেক্ষেত্রে তাদেরকে স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হবে।
গত ৭মে প্রথম মাটিরাঙ্গা ও পানছড়ির তিনটি পয়েন্টে প্রথম পুশইন করা হয়। সবশেষ বৃহষ্পতিবার মাটিরাঙ্গা উপজেলার তানাক্কা পাড়া বাংলাদেশ-ভারত সীমান্ত দিয়ে ১৩জনকে পুশইন করা হয়। এদের অধিকাংশ কুড়িগ্রাম, নড়াইল, নারায়নগঞ্জ, জেলার বাসিন্দা। কাজের সন্ধানে অবৈধ পথে তারা ভারতে পাড়ি জমান।
উল্লেখ্য, এনিয়ে খাগড়াছড়ি জেলার বিভিন্ন সীমান্ত দিয়ে এখন পর্যন্ত ১৪৫জনকে পুশইন করেছে ভারতীয় সীমান্ত রক্ষী বাহিনী (বিএসএফ)। নতুন পুশইন হওয়া ১৩জন ছাড়া বাকি সবাইকে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।