ভারতের মিজোরামে উদ্ধারকৃত অস্ত্রের সাথে ইউপিডিএফের কোনো ধরনের সংশ্লিষ্টতা নেই বলে জানিয়েছে ইউনাইটেড পিপলস ডেমোক্রেটিক ফ্রন্ট (ইউপিডিএফ)।
শুক্রবার ইউপিডিএফের মুখপাত্র অংগ্য মারমা সংবাদ মাধ্যমে প্রদত্ত এক বিবৃতিতে বলেন, মিজোরাম পুলিশের প্রেস বিবৃতির বরাত দিয়ে গতকাল (১৬ জানুয়ারি) বাংলাদেশ ও ভারতের কয়েকটি সংবাদ মাধ্যমে মিজোরামের মামিত জেলার পশ্চিম ফাইলেং থানাধীন সাইথাং গ্রামে একটি অস্ত্রের চালান জব্দের সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে এবং জব্দকৃত অস্ত্রের চালানটি মায়ানমারের চিন ন্যাশন্যাল ফ্রন্ট (সিএনএফ) এবং ইউপিডিএফের মধ্যে লেনদেন হচ্ছিল বলে উল্লেখ করা হয়েছে, যা আদৌ সত্য নয়।
উক্ত জব্দকৃত অস্ত্রের চালান কিংবা সিএনএফ-এর সাথে ইউপিডিএফের বিন্দুমাত্র সম্পর্ক নেই উল্লেখ করে তিনি বলেন, যে এলাকায় অস্ত্রের চালানটি জব্দ করা হয়েছে সেটি বাংলাদেশ সীমান্তের কাছে এবং এই সীমান্ত অঞ্চলটির পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ রয়েছে জনসংহতি সমিতির সন্তু লারমা গ্রুপের হাতে।
অস্ত্রের চালানটি ধরা পড়লে তা ইউপিডিএফের কাছে যাচ্ছে বলে স্বীকারোক্তি দিতে ধৃত অস্ত্র চোরাকারবারীদের সাথে চালান গ্রহীতাদের গোপন বোঝাপড়া থাকতে পারে বলে অংগ্য মারমা মন্তব্য করেন এবং বলেন, অস্ত্রের আসল ক্রেতারা নিজেদের আড়াল করতে ও ইউপিডিএফের ভাবমূর্তি ক্ষুণœ করে দেয়ার হীন উদ্দেশ্যে উক্ত জব্দকৃত অস্ত্রের চালানের সাথে ইউপিডিএফের নাম জড়ানো হয়েছে।
বিবৃতিতে তিনি বলেন, ইউপিডিএফ একটি গণতান্ত্রিক সংগঠন। দেশের অন্যান্য গণতান্ত্রিক সংগঠনের মতোই ইউপিডিএফ গণতান্ত্রিকভাবে তার সাংগঠনিক কার্যক্রম পরিচালনা করছে। কাজেই অস্ত্রের চালানোর সাথে ইউপিডিএফের জড়িত থাকার কোন প্রশ্নই উঠে না।
প্রসঙ্গত, বুধবার (১৫ জানুয়ারি) ভারতের উত্তরপূর্বাঞ্চলীয় রাজ্য মিজোরামের বাংলাদেশ লাগোয়া একটি সীমান্ত জেলা থেকে বিশাল অস্ত্রের চালান জব্দ করেছে দেশটির পুলিশ। অস্ত্রের এই চোরাচালানে বাংলাদেশের পার্বত্য চট্টগ্রামের আঞ্চলিক সংগঠন ইউনাইটেড পিপলস ডেমোক্রেটিক ফ্রন্ট (ইউপিডিএফ) ও মিয়ানমারের চীন ন্যাশনাল ফ্রন্ট (সিএনএফ) জড়িত বলে দাবি করেছে মিজোরাম পুলিশ।
এ ঘটনায় পশ্চিম মিজোরামের মামিত জেলায় মিয়ানমারভিত্তিক বিদ্রোহী গোষ্ঠী চীন ন্যাশনাল ফ্রন্টের (সিএনএফ) নেতাসহ অন্তত পাঁচ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। বিষয়টি নিয়ে পশ্চিম ফাইলেং থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে।