ক্রীড়া প্রতিবেদক
রাঙামাটি তবলছড়ি এলাকার একমাত্র খেলার মাঠ হল এডিসি কলোনীর সবুজ সংঘ মাঠ।যে মাঠটিতে খেলাধুলা করে রাঙামাটি জেলা ও জাতীয় পর্যায়ে খেলেছেন রাঙামাটির অনেক সাবেক-বর্তমান খেলোয়াড়রা।
ফুটবল,ক্রিকেটসহ ছোটখাটো বিভিন্ন খেলার আয়োজনে মাঠটি সরগরম থাকতো সারাবছর জুড়ে।কিন্তু রাঙামাটির ভয়াবহ পাহাড় ধ্বসের সময় মাঠটি ক্ষতিগ্রস্ত হয়।খেলাধুলার আয়োজন থেকে বঞ্চিত হয় স্থানীয় খেলোয়াড়রা।হতাশা চেপে বসে স্থানীয় ক্রীড়া সংগঠক ও ক্লাবগুলোর মধ্যে।এরপর রাঙামাটির ক্রীড়াঙ্গনের জন্য আন্তরিক ক্রীড়া সংগঠক,জেলা ক্রীড়া সংস্থার সাবেক যুগ্ন-সম্পাদক,জেলা পরিষদের সদস্য ও রাঙামাটি জেলা আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক হাজী মোঃ মুছা মাতব্বর এগিয়ে আসেন।তিনি জেলা পরিষদের মাধ্যমে মাঠটির ড্রেনেজ ও মাটির কাজ সম্পন্ন করে খেলার উপযোগী করে গড়ে তুলেন।আবার প্রান ফিরে পায় তবলছড়ির একমাত্র খেলার মাঠটি।স্থানীয় খেলোয়াড়দের পদচারনায় মেতে উঠে মাঠটি।তারপরও যেন মাঠটির সমস্যা শেষ হচ্ছিলো না।আবার এগিয়ে আসেন রাঙামাটি ক্রীড়াঙ্গনের বন্ধু হাজী মোঃ মুছা মাতব্বর।তিনি এবার মাঠটির যাতায়াতের জন্য সিঁড়ি,মাঠে ক্রিকেট প্র্যাকটিসের জন্য কংক্রিটের পিচ,দুইটি গোলবার ও মাঠে পানির সুব্যবস্থার জন্য গভীর নলকূপ বসিয়ে মাঠে আরো প্রান ফিরিয়ে আনেন।
এ বিষয়ে রাঙামাটি জেলা ক্রীড়া সংস্থার কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য স্থানীয় ক্রীড়া সংগঠক সাইফুল আলম রাশেদ বলেন,হাজী মোঃ মুছা মাতব্বর তবলছড়ি সবুজ সংঘ মাঠটির জন্য যা করেছেন তার ঋন তবলছড়ি ক্রীড়ামোদিরা কখনো শোধ করতে পারবেনা।হাজী মোঃ মুছা মাতব্বরের প্রতি কৃতজ্ঞতা ও শ্রদ্ধা জানান।
স্থানীয় আরেক ক্রীড়া সংগঠক জেলা ক্রীড়া সংস্থার কার্যনির্বাহী সদস্য ও জেলা ক্রিকেট দলের সাবেক অধিনায়ক নাছির উদ্দিন সোহেল বলেন,মাঠটি হল বৃহত্তর তবলছড়ি এলাকার প্রান।এখানে খেলে আমরা জেলার সর্বোচ্চ প্রতিনিধিত্ব করেছি।এখনো জেলা দলের প্রায় খেলোয়াড় এই মাঠটি থেকেই উঠে আসে অন্তত ক্রিকেটে ও ফুটবলে।হাজী মোঃ মুছা মাতব্বরের ক্রীড়াঙ্গন নিয়ে যে ভালোবাসা ও আন্তরিকতা তা ভাষায় প্রকাশ করা যায়না।মাতব্বর ফাউন্ডেশনের মাধ্যমে ফুটবল, ক্রিকেটে নিয়মিত টুর্নামেন্ট আয়োজন করেন।
স্থানীয় ক্লাবগুলোকে ভবন করাসহ বিভিন্নভাবে সহযোগিতা করেন।তাছাড়া বিভিন্ন টুনার্মেন্ট এত ব্যস্ত সময়ের মাঝেও উপস্থিত থেকে আর্থিক ও বিভিন্নভাবে সাহায্য সহযোগিতা করেন নিরলসভাবে।ক্রীড়াঙ্গনে হাজী মোঃ মুছা মাতব্বরের মত আরো অনেকে আন্তরিকতা নিয়ে এগিয়ে আসলে রাঙামাটির ক্রীড়াঙ্গন সমৃদ্ধ হবে এবং জাতীয় পর্যায়ে সাফল্য আনতে সহজ হবে।