রাঙামাটি মৃত্তিকা সম্পদ উন্নয়ন ইনস্টিটিউট আয়োজনে ‘সমস্যাক্লিষ্ট মৃত্তিকা ব্যবস্থাপনা’ বিষয়ে ৩ তিনদিনব্যাপি প্রশিক্ষণ কর্মসূচি শুরু হয়েছে। কৃষি তথ্য সার্ভিসের রাঙামাটি আঞ্চলিক কার্যালয়ে মঙ্গলবার সকাল এগারোটায় এই প্রশিক্ষণ শুরু হয়। প্রশিক্ষণের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের পার্বত্য চট্টগ্রাম অঞ্চলের অতিরিক্ত পরিচালক উদয় শংকর মুৎসুদ্দী।
মৃত্তিকা সম্পদ উন্নয়ন ইনস্টিটিউটের আঞ্চলিক কার্যালয়, কুমিল¬ার প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা মীর শাহাবুদ্দিনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন কৃষি তথ্য সার্ভিস, রাঙামাটির আঞ্চলিক পরিচালক তপন কুমার পাল, মৃত্তিকা সম্পদ উন্নয়ন ইনস্টিটিউট, চট্টগ্রাম জেলা কার্যালয়ের উর্ধ্বতন বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা মো. জালাল উদ্দিন, মৃত্তিকা সম্পদ উন্নয়ন ইনস্টিটিউট, নোয়াখালী জেলা কার্যালয়ের উর্ধ্বতন বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা উৎপল কুমার। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন এসআরডিআই রাঙামাটি কার্যালয়ের উর্ধ্বতন বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা মোঃ ফারুক হোসেন।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে অতিরিক্ত পরিচালক উদয় শংকর মুৎসুদ্দী বলেন, পাহাড়ি এলাকায় মাটির গঠন ভিন্ন প্রকৃতির হওয়ায় এখানে ফসল উৎপাদন করা বেশ কষ্টসাধ্য। তাছাড়া পার্বত্য অঞ্চল বাংলাদেশের মোট আয়তনের এক দশমাংশ হওয়ায় তা আবার বেশ সম্ভাবনাময়। মাটির স্বাস্থ্য রক্ষা করে কৃষি উৎপাদন করার বিষয়ে কৃষক, সম্প্রসারণ কর্মী ও বিজ্ঞানীদের সমন্বিত উদ্যোগ নেওয়ার জন্য আহবান জানান। মাটিস্থ উদ্ভিদ পুষ্টি উপাদান পরীক্ষা করার মাধ্যমে সার ব্যবহারসহ যাবতীয় কার্যক্রম গ্রহণ করার জন্যও তিনি সংশি¬ষ্টদের অনুরোধ করেন।
সভাপতির বক্তব্যে প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা মীর শাহাবুদ্দিন মৃত্তিকা সম্পদ উন্নয়ন ইনস্টিটিউটের প্রতিষ্ঠা বিষয়ে আলোকপাত করেন। বাংলাদেশের প্রতিটি উপজেলায় মাটির যথাযথ ব্যবহারের নিমিত্তে উপজেলা ভিত্তিক থানা নির্দেশিকা প্রণীত হয়েছে বলে তিনি জানান। এছাড়া বর্তমানে ইউনিয়ন ভিত্তিক মৃত্তিকা ব্যবস্থাপনার ওপর নির্দেশিকা তৈরি হচ্ছে বলেও তিনি অবহিত করেন।
প্রশিক্ষণে রাঙামাটি পার্বত্য জেলার কৃষি সংশি¬ষ্ট সরকারি, বেসরকারি বিভিন্ন বিভাগের ২০ জন কর্মকর্তা ও সম্প্রসারণ কর্মী অংশগ্রহণ করেন।