রাঙামাটি মেডিকেল কলেজে মনিরের নামে হল করার দাবি জানিয়েছে পার্বত্য চট্টগ্রাম ছাত্র পরিষদ(পিসিসিপি)। রবিবার সকালে রাঙামাটি মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক ডা. প্রীতি প্রসূন বড়ুয়াকে স্মারকলিপি দেয় পার্বত্য চট্টগ্রাম ছাত্র পরিষদ (পিসিসিপি) রাঙামাটি জেলা শাখা।
স্মারকলিপি পার্বত্য চট্টগ্রাম ছাত্র পরিষদ (পিসিসিপি) রাঙামাটি জেলার সভাপতি মোঃ হাবীব আজম এর নেতৃত্বে উপস্থিত ছিলেন পিসিসিপি রাঙামাটি সরকারি কলেজ শাখার আহ্বায়ক মোঃ শহিদুল ইসলাম, নানিয়ারচর উপজেলা পিসিসিপি’র সভাপতি মেহেরাজ হোসেন, সহ- সাধারণ সম্পাদক আবু হানিফ, সাংগঠনিক সম্পাদক মোঃ মোশারফ রহমান।
স্মারকলিপিতে পার্বত্য চট্টগ্রাম ছাত্র পরিষদ উল্লেখ করেন,২০১৫ সালের ১০ জানুয়ারি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে রাঙামাটি মেডিকেল কলেজের কার্যক্রম উদ্বোধন করেন।
সেদিন পিসিপি’র হিং¯্র হামলায় তরুণ যুবক মনিরের একটি তাজা প্রাণ ঝরে যায়, আহত হয় জামাল হোসেন সহ অসংখ্য সাধারণ বাঙালিরা। হিংসা হানাহানির রেশ ধরে পরিস্থিতি সামাল দিতে রাঙামাটি জেলার ইতিহাসে প্রথমবারের মতো শহরে কারফিউ জারি করা হয়। তিনদিন রাঙামাটি শহর ছিল নিরব নিস্তব্ধ এবং মৃত্যুপুরির মতো। মানুষ মেডিকেল কলেজ পাওয়ার সাথে সাথে কারফিউ দেখারও অভিজ্ঞতা অর্জন করে। এই ইতিহাস একদিন মানুষ ভুলে যাবে। ইতোমধ্যে অনেকই ভুলেও গেছেন। কিন্তু রাঙামাটি মেডিকেল কলেজ কালের সাক্ষী হয়ে দাঁড়িয়ে আছে এবং থাকবে। সেদিন থেকেই দাবি উঠেছিলো রাঙামাটি মেডিকেল কলেজের ক্যাম্পাস অথবা হলরুম যেকোন একটি মরহুম মনিরের নামে করা হোক। কিন্তু সেই দাবি উপেক্ষিত করা হয়েছে। এছাড়া সংগঠনটির নেতৃবৃন্দ চার দফা দাবি পেশ করেন।
দাবিগুলো হলো
১। রাঙামাটি মেডিকেল কলেজের স্থায়ী ক্যাম্পাস দ্রুত করা।
২। রাঙামাটি মেডিকেল কলেজের স্থায়ী ক্যাম্পাস করা হলে সেখানে শহীদ মনিরের নামে একটি ছাত্র হল করতে হবে।
৩। শহীদ মনিরের পরিবার থেকে যে কোন একজনকে মেডিকেল কলেজে সরকারি চাকরি দিতে হবে।
৪। রাঙামাটি মেডিকেল কলেজ প্রতিষ্ঠার পিছনে বাঙালিদের অবদান তাই চাকরি ও ভর্তি ক্ষেত্রে রাঙামাটির বাঙালিদের যাতে অগ্রাধিকার দেওয়া হয়।(বিজ্ঞপ্তি)