নিজস্ব প্রতিবেদক
সাধু সাধু সাধু ধ্বনিতে হাজারো পূণ্যার্থীদের ভক্তি ও শ্রদ্ধায় রাঙামাটি সদর উপজেলার বন্দুক ভাঙ্গা ইউনিয়নের যমচুগ বনাশ্রম ভাবনা কেন্দ্রে ৪০ তম দানোত্তম কঠিন চীবর দান অনুষ্ঠিত হয়েছে।
গৌতম বুদ্ধের প্রধান সেবিকা মহাপূণ্যবতী বিশাখা প্রবর্তিত কঠিন চীবর বুনন ও ধর্মীয় নানা আচার-অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে সোমবার শুরু হয়ে মঙ্গরবার বিকেলে দুই দিনব্যাপী কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়েছে। কর্মসূচির মধ্য বুদ্ধপূজা, বুদ্ধমূর্তিদান, সংঘদান, অষ্টপরিষ্কার দান, কঠিন চীবর দান, পঞ্চশীল প্রার্থনা, সুত্রপাঠ, ধর্মীয় দেশনা, কল্পতরু প্রদক্ষিণ ও ফানুস বাতি উৎসর্গসহ উল্লেখযোগ্য।
কঠিন চীবর দানোৎসবে দূর-দূরান্ত থেকে হাজারো পূণ্যার্থী অংশ নেন। পূণ্যার্থীদের পদচারণায় মুখর হয়ে উঠে বিহার প্রাঙ্গণ। দুপুরে কল্পতরু ও কঠিন চীবরকে পুরো বিহার এলাকা প্রদক্ষিণ করে আনন্দ শোভাযাত্রা করা হয়। সন্ধ্যায় জগতের সকল প্রাণীর হিতসুখ ও মঙ্গল কামনায় ৮৪হাজার বাতি প্রজ্জ্বলন করা হয়।
মঙ্গলবার সকালে প্রথমে মঞ্চে উপস্থিত ভিক্ষু সংঘকে ফুলের তোড়া দিয়ে বরণ করে নেন ভক্তরা। পরে উদ্বোধনী ধর্মীয় সঙ্গীত পরিবেশনার মধ্য দিয়ে পঞ্চশীল পাঠ করেন প্রদীপ চাকমা। বিশেষ প্রার্থনা পাঠ করেন বর্ষা চাকমা। স্বাগত বক্তব্য রাখেন বিহার পরিচালনা কমিটির সভাপতি পূর্ণ চক্র চাকমা। অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন রূপক চাকমা ও অরুণ কুমার চাকমা।
ধর্মীয় সভায় পূণ্যার্থীদের উদ্দেশে ধর্ম দেশনা দেন দীঘিনালা বনবিহারের উপাধক্ষ্য ভদন্ত শ্রীমৎ শুভবর্ধন মহাস্থবির। বিমুক্তিপুর ধ্যান কুটিরের অধ্যক্ষ ভদন্ত শ্রীমৎ প্রিয়ানন্দ মহাস্থবির, ধুতাঙ্গটিলা বনবিহারের অধ্যক্ষ ভদন্ত শ্রীমৎ দেবধাম্মা মহাস্থবির, রাজবন বিহারের ভিক্ষু ভদন্ত শ্রীমৎ অগ্রজ্যোতি মহাস্থবির ও যমচুগ বনাশ্রম ভাবনা কেন্দ্রের বিহার অধ্যক্ষ ভদন্ত শ্রীমৎ কল্যাণজ্যোতি মহাস্থবির।