অর্ণব মল্লিক, কাপ্তাই ॥
রাঙামাটির কাপ্তাইয়ে ১৯৮৬ সালে নির্মিত হয় কার্গো ট্রলি। যেই ট্রলিটির মাধ্যমে পার্বত্যাঞ্চলের বাঁশসহ বিভিন্ন ধরনের কাঁচামাল কাপ্তাই লেক হতে কার্গো ট্রলির মাধ্যমে তা কর্ণফুলী নদীতে পারাপার করা হয়ে থাকে। তবে দীর্ঘ বছরের পুরোনো এই কার্গো ট্রলি জরাজীর্ণ হওয়াতে অধিকাংশ সময় বন্ধ রাখা হয়। যার ফলে কাপ্তাই হ্রদের ওপর পারাপারের অপেক্ষায় থাকা কোটি টাকা মূল্যের বাঁশ নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। এতে ব্যবসায়ীদের পড়তে হচ্ছে সীমাহিন দুর্ভোগে। কার্গো ট্রলিটি পরিচালনা করে থাকে কাপ্তাই কর্ণফুলী পানি বিদ্যুৎ কেন্দ্র কর্তৃপক্ষ। তারা সেখানে থাকা পুরোনো সেই ৩টি কার্গো ট্রলি মেরামতের জন্য মেসার্স এন্টারপ্রাইজ ও জেবি এন্টারপ্রাইজ নামে দুটি প্রতিষ্ঠানকে দায়িত্ব দিয়েছে। কিন্তু সংশ্লিষ্ট ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান এই সংস্কার কার্যক্রম করছে ধীরগতিতে। তাছাড়া নিম্নমানের কাজ করছে বলেও অভিযোগ পাওয়া গেছে।
এবিষয়ে কাপ্তাইয়ে বাঁশ ব্যবসায়ী ইউসুফ, ইদ্রিস, টিপু, রাজ্জাক, বাদশা, ময়ূর, খুশি ও আব্দুর রশিদ রাশু জানান, কার্গো ট্রলিগুলোর যান্ত্রিক ত্রুটির ফলে লক্ষ লক্ষ টাকার বাঁশ নদীতে নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। সরকারি সকল ধরনের রাজস্ব দেয়ার পরও সঠিক সময়ে বাঁশ পারাপার করা হচ্ছে না। এদিকে কার্গো ট্রলি তিনটি মেরামত করার জন্য দুটি প্রতিষ্ঠান কাজ পেয়েছে। কিন্তু সরকার পরিবর্তনের পর থেকে তাদের দেখা যায় না। কাজ ফেলে তারা চলে গেছে। যার ফলে একটি কাঁচামাল পারাপার কার্গো ট্রলি দিয়ে কোনরকম ভাবে তারা ঝুঁকিপূর্ণভাবে বাঁশ পারাপার করছে। তাও আবার প্রতিদিনে একবেলা করে। এতে করে সঠিক সময়ে পারপার করতে না পারায় কোটি টাকার বাঁশ লেকে শুকিয়ে নষ্ট হচ্ছে। তাই দ্রুত সময়ে কার্গো ট্রলি মেরামত করে এই সমস্যা সমাধান না করলে বিপুল পরিমাণ ক্ষতির সম্মূখীন হবেন তারা।
তবে এবিষয়ে জানতে চেয়ে দায়িত্বপ্রাপ্ত ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান মেসার্স এন্টারপ্রাইজের ম্যানেজার আসাদকে ফোন করা হলেও সাড়া পাওয়া যায়নি।
এদিকে কার্গো ট্রলির দায়িত্বে থাকা কাপ্তাই পানি বিদ্যুৎ কেন্দ্রের উপসহকারী প্রকৌশলী আদিল হোসেনকে কার্গো সমস্যার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, কাপ্তাই কর্ণফুলী পানি বিদ্যুৎ কেন্দ্র ব্যবস্থাপকের অনুমতি ছাড়া মন্তব্য করা যাবে না।
পরে কাপ্তাই কর্ণফুলী পানি বিদ্যুৎ কেন্দ্রের ব্যবস্থাপক এটিএম আব্দুজ্জাহের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, কার্গো ট্রলি মেরামত কাজ করার জন্য এখনো প্রতিষ্ঠানে কোন বিল পাওয়া যায়নি। আর ঠিকাদার কাজের কিছুটা অনিয়ম পাওয়া গেছে। তাই মেরামত শেষ না হওয়া পর্যন্ত একটি ট্রলি ভালো আছে সেটি দিয়ে পারাপার কাজ চালিয়ে যেতে হবে।