জিয়াউল জিয়া
রাঙামাটিতে সম্প্রতি ঘটে যাওয়া সহিংস ঘটনায় গঠিত সাত সদস্যের তদন্ত কমিটি সোমবার সকালে রাঙামাটি শহরের ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা পরিদর্শন করেছেন। এসময় তাঁরা ক্ষতিগ্রস্ত ও স্থানীয় পাহাড়ি-বাঙালিদের সাথে কথা বলেন।
তদন্ত কমিটির প্রধান অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার (উন্নয়ন) মোহাম্মদ নূরুল্লাহ নূরীর নেতৃত্বে এসময় উপস্থিত ছিলেন কমিটির সদস্য রাঙামাটির অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট জোবাইদা আক্তার ও অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. শাহ নেওয়াজ রাজু। এছাড়াও স্থানীয় ব্যবসায়ী ও গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।
এসময় তদন্ত কমিটি শহরের বনরুপা বাজার, কাটাপাহাড় লেইনসহ ক্ষতিগ্রস্ত প্রতিটি দোকান বাসাবাড়ি পরিদর্শন করেন। একই সাথে ক্ষতিগ্রস্তদের বক্তব্য শুনেন।
পরিদর্শন শেষে তদন্ত কমিটির প্রধান অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার (উন্নয়ন) মোহাম্মদ নূরুল্লাহ নূরী সাংবাদিকদের জানান, তিনটি বিষয়কে মাথায় রেখে আমরা তদন্ত করছি। ক্ষতিগ্রস্তদের সাথে সেদিনের বিষয়গুলো নিয়ে তাদের কথা শুনছি। ক্ষতিগ্রস্ত ব্যক্তিদের নামের তালিকা করা, তাদের ক্ষয়ক্ষতির বিষয়টি সরকারে জানানো। সামনের সময়ে এই ধরনের ঘটনা না ঘটে তার জন্য সুপারিশ প্রণয়ন করা।
জেলা প্রশাসনের তথ্য মতে, সরাকারি অফিস ২টি, দোকান ৮৯টি, ব্যাংক ৪টি, ভাসমান দোকান ৮৫টি, ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান ২টি, পরিবহন ৪৬টি, ডায়াগনস্টিক সেন্টার ২টি ও একটি পুলিশ বক্স ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। যার আনুমানিক ক্ষতির পরিমাণ নয় কোটি টাকা।
ক্ষতিগ্রস্তরা জানান, তদন্ত কমিটি যেন ঘটনার সাথে দোষী ব্যক্তিদের সাজার ব্যবস্থা করে এবং আর যেন এই ধরনের ঘটনা না ঘটে সেই ব্যাপারে সবাইকে সজাগ থাকতে হবে। এছাড়া দ্রæত যেন সরকার থেকে তাদেরকে ক্ষতিপূরণ দেয়া হয়।
উল্লেখ্য, রাঙামাটি-খাগড়াছড়ি ঘটে যাওয়া সহিংস ঘটনা তদন্তে গত ২৬ সেপ্টেম্বর অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার (উন্নয়ন) কে প্রধান করে ৭ সদস্য বিশিষ্ট কমিটি গঠন করে সরকার। কমিটিকে দুই সপ্তাহের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেয়ার জন্য নির্দেশ প্রদান করা হয়।