গণমাধ্যমের ক্ষমতা কার্যকরভাবে ব্যবহার করতে পারলে জলবায়ু অর্থায়নে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা অনেকটাই নিশ্চিত করা সম্ভব। এজন্য গণমাধ্যমকর্মীদের পরিকল্পিত উদ্যোগ ও আন্তরিকতা প্রয়োজন। বুধবার রাঙামাটিতে গণমাধ্যমকর্মীদের নিয়ে দিনব্যাপী এক কর্মশালায় বক্তারা একথা বলেন।
‘জলবায়ু বিষয়ক অর্থায়ন’ এই শ্লোগানকে সামনে রেখে গণযোগাযোগ ও উন্নয়ন যোগাযোগ নিয়ে কাজ করা বেসরকারি সংস্থা সমষ্টি’র আয়োজনে একটি হোটেলে এই কর্মশালার আয়োজন করা হয়।
সমষ্টি’র নির্বাহী পরিচালক শাহেদুল আলমের সঞ্চালনায় এতে উপস্থিত ছিলেন রাঙামাটি প্রেসক্লাবের সভাপতি সুনীল কান্তি দে, দৈনিক গিরিদর্পণ সম্পাদক একেএম মকছুদ আহম্মেদ, দৈনিক রাঙামাটির সম্পাদক আনোয়ার আল হক। কর্মশালার শুরুতে পাওয়ার অব পয়েন্টে জলবায়ুর প্রভাব বিষয়ক বিভিন্ন তথ্য ও চিত্র উপস্থাপন করেন সমষ্টি’র রেজাউল হক।
প্রেজেন্টেশনে বলা হয়, পৃথিবী এখন ভয়াবহ দুর্যোগের মুখে। এমনটি চলতে থাকলে ২০৫০সালের মধ্যে প্রায় ১০০কোটি মানুষ জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে ছিন্নমূল হবে। মানুষ নিজেগের সম্ভোগ মেটাতে পরিবেশের ওপর যে অত্যাচার করছে তাতে বায়ুমন্ডল উত্তপ্ত হয়ে যাচ্ছে, ভূমির বরফগলা ক্রমে বেড়ে সমুদ্রের পানির উচ্চতা বাড়িয়ে দিচ্ছে যার কারণে বন্যা, ঝড়-ঝাপটাসহ প্রাকৃতিক নানা দুর্যোগের আশঙ্কা এখন ভয়াবহ রূপ নিয়েছে। সরকার জলবায়ু পরিবর্তন কৌশল ও কর্মপরিকল্পনা বাস্তবায়নের লক্ষ্যে নিজস্ব অর্থায়নে ২০১০সালে বাংলাদেশ জলবায়ু পরিবর্তন ট্রাস্ট ফান্ড গঠন করে। জলবায়ু পরিবর্তন ট্রাস্ট ফান্ডে ২০১২সাল থেকে ২০১৫সাল পর্যন্ত তিন বছরের ২১০০কোটি টাকা বরাদ্দ রাখা হয়েছে। এই তহবিল থেকে সরকার এখন পর্যন্ত এক হাজার ২৫কোটি ৬০লাখ ব্যয়ে ৮৭টি প্রকল্প অনুমোদন করেছে। এর মধ্যে ৫৫টি বেসরকারি সংস্থাকে ৫৫টি প্রকল্প বাস্তবায়নের দায়িত্ব দেওয়া হয়।
কর্মশালায় জানানো হয়, এই প্রকল্পগুলো কতটুকু বাস্তবায়ন হয়েছে বা হচ্ছে তা গণমাধ্যম কর্মীদের সকলের কাছে জানানো প্রয়োজন।