জিয়াউল জিয়া ।।
রাঙামাটি জেলার পর্যটন সংশ্লিষ্ট অংশীজনের সাথে মত বিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। মঙ্গলবার দুপুরে শহরের বার্গী লেক ভ্যালী রিসোর্টে এই সভার আয়োজন করা হয়।
সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন রাঙামাটির জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মোশারাফ হোসেন খান, পুলিশ সুপার ড. এস. এম. ফরহাদ হোসেন, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক নাসরিন সুলতানা, সভায় সভাপতিত্ব করেন তনয় দেওয়ান ও রিসোর্ট ওনার্স এসোসিয়েশন, আবাসিক হোটেল মালিক সমিতি, রাঙামাটি, ট্যুর অপারেটর এসোসিয়েশন অফ রাঙামাটি (টোয়ার), পর্যটন শিল্প সমবায় সমিতি লিমিটেড, লঞ্চ মালিক সমিতি, রেস্তোরাঁ মালিক সমিতি, রাঙামাটি জেলা অটোরিক্সা শ্রমিক ইউনিয়ন, রাঙামাটি তাঁত শিল্প মালিক সমিতি, রেস্টুরেন্ট এসোসিয়েশন, ট্যুরিস্ট বোট মালিক সমিতি, রিজার্ভ বাজার, ট্যুরিস্ট বোট মালিক সমিতি, সমতা ঘাট ট্যুরিস্ট বোট মালিক সমিতি, পর্যটন ঘাট, ট্যুরিস্ট বোট মালিক সমিতি, ফিসারী ঘাট, হাউজ বোট ওনার্স এসোসিয়েশন অফ রাঙামাটি, মোট ১৪টি পর্যটন অংশিজনেরা অংশ গ্রহন করে।
সভায় পর্যটন সংশ্লিষ্ট ব্যবাসায়ীরা, দ্রুততম সময়ের মধ্যে পাহাড়ে পর্যটক ভ্রমণে নিরুৎসায়িত প্রত্যাহারের অনুরোধ জানানো হয়। একই সাথে পাহাড়ে পর্যটকদের ভ্রমণ আনন্দদায়ক করতে সরকারি উদ্যোগ গ্রহণের দাবিও জানানো হয়।
সিএনজি শ্রমিক ইউনিয়নের সাধারন সম্পাদক মিজানুর রহমান বাবু বলেন, রাঙামাটি পর্যটক আসলে শহরের পান দোকান থেকে শুরু করে প্রতিটি সেক্টর এর সুফল পায়। যদি সাজেক সমস্যা থাকে তাহলে সেখানে বন্ধ রেখে শহরের পর্যটন খাত যাতে খোলা রাখার জোর দাবি করছি।
রাঙামাটি তাঁত শিল্প মালিক সমিতির সভাপতি বাবলা দাশ বলেন, রাঙামাটি পর্যটক না আসলে হাতে তৈরি বিভিন্ন ধরনের পোশক তৈরির কারখানা বন্ধ রাখতে হয়। কারন পর্যটক না আসলে এসব পন্য বিক্রি হয় না৷
হাউজ বোট ওনার্স এসোসিয়েশন অফ রাঙামাটি সাধারন সম্পাদক মিজানুর রহমান বলেন, পর্যটক খাতে নতুন সংযোজন হাউজ বোট। কাপ্তাই হ্রদে ভ্রমণ ও থাকার ব্যবস্থা থাকায় পর্যটকদের আকর্ষণ বৃদ্ধি পেয়েছে। তবে নান সমস্যার কারনে ব্যবসা অনেকে গুটিয়ে নিচ্ছে।
অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক নাসরিন সুলতানা বলেন, পর্যটকরা দিনে হ্রদে ঘুরে বেড়ানোর পর, রাতে আলস সময় কাটাতে হয়। পর্যটকদের জন্য রাতে বিনোদনের জন্য ব্যবস্থা করতে হবে। ইতোমধ্যে সিসি ক্যামেরা বসানোর উদ্যোগ নেয়া হচ্ছে। আশা করছি নভেম্বরের মধ্যে শহরকে নতুন ভাবে সাজাতে পারবো।
পুলিশ সুপার ড. এস. এম. ফরহাদ হোসেন বলেন, পর্যটকদের নিরাপত্তার জন্য কাজ করে যাচ্ছি। আমরাও চাই এখনে পর্যটন আসুক এবং সার্বিক পরিস্থিতি উচ্চ মহল বিবেচনার জন্য অবহিত করা হয়েছে।
জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মোশারফ হোসেন খান বলেন, রাঙামাটি দেশের পর্যটন শিল্পের অন্যতম আকর্ষনীয় স্থান। এই ব্যবসায় অনেক লোক নিয়োজিত। তাই এই আদেশে যাতে আর না বাড়ে সে বিষয়ে কাজ করে যাচ্ছি। আশা করি অচিরেই সেই সুখবর পাবেন।