নিজস্ব প্রতিবেদক ॥
‘এসো হে তারুণ্য অস্তিত্বের টানে লিটল ম্যাগ জাগরণে’ এই শ্লোগানকে সামনে রেখে রাঙামাটিতে পার্বত্য চট্টগ্রাম লিটল ম্যাগ প্রদর্শনী উৎসব এবং সাহিত্যে বিশেষ অবদানের জন্য তিন পার্বত্য জেলার ছয় লেখককে সম্মাননা প্রদান অনুষ্ঠিত হয়েছে। শুক্রবার সকালে শহরের কল্যাণপুরে রেগা প্রকাশনী প্রাঙ্গণে এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। পার্বত্য চট্টগ্রাম লিটল ম্যাগ লাইব্রেরি ও সংগ্রহ গবেষণা কেন্দ্র এবং রেগা প্রকাশনীর যৌথ উদ্যোগে এই উৎসবের আয়োজন করে।
অনুষ্ঠানের শুরুতে মোমবাতি প্রজ্জ্বলনের মাধ্যমে উৎসবের উদ্বোধন করেন সাম্মানিক ফেলোশিপ বাংলা একাডেমি, সম্পাদক ও গবেষক সুগত চাকমা। উৎসবের আহ্বায়ক মলয় কিশোর ত্রিপুরা’র সভাপতিত্বে এতে প্রধান অতিথি ছিলেন চট্টগ্রাম লিটল ম্যাগ ও লাইব্রেরি ও গবেষণা কেন্দ্রের সম্পাদক ও পরিচালক কমলেশ দাশগুপ্ত। অনুষ্ঠানের উদ্বোধক ছিলেন এতে বক্তব্য রাখেন বিশিষ্ট লেখক ও গবেষক আজাদ বুলবুল, পুষ্পক রথের সম্পাদক কবি হাফিজ উদ্দিন খান, সবুজের জয়যাত্রার সম্পাদক দেবব্রত সেন, চিটাগং হিলট্রেক্টস রাইটার্স ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক মুকুল কান্তি ত্রিপুরা, মাসিক প্রভাতী’র সম্পাদক পপেন ত্রিপুরা, মমতাময়ী’র সম্পাদক শংকর হোড়। নীতি ভুবন চাকমার সঞ্চালনায় স্বাগত বক্তব্য রাখেন উৎসবের আয়োজক ও রেগা প্রকাশনীর কর্ণধার ইন্টুমনি তালুকদার।
অনুষ্ঠানে বক্তারা বলেন, পার্বত্য চট্টগ্রাম সাহিত্যে উর্বর ভূমি। এখানকার মানুষের কথা, অনুভূতি, সংস্কৃতি লিটল ম্যাগের মাধ্যমে ফুটে উঠে। সাহিত্যের ক্ষেত্রে লিটল ম্যাগকে অস্বীকার করার উপায় নেই। অন্যান্য প্রকাশনায় যেখানে সীমাবদ্ধতা রয়েছে, সেখানে লিটল ম্যাগের কোনও সীমাবদ্ধতা নেই। সাহিত্যের এই শাখাটি তার আপন গতিতে ছুটে চলে। নতুন প্রজন্ম যাতে লিটল ম্যাগের মাধ্যমে সাহিত্যে পদার্পণের সুযোগ ঘটে সেজন্য মানসম্মত লিটন ম্যাগ প্রকাশনার ওপর গুরুত্বারোপ করেন বক্তারা। পাশাপাশি ম্যাগাজিন প্রকাশনার ক্ষেত্রে সরকারি পৃষ্ঠপোষকতা আরো বৃদ্ধি করা প্রয়োজন বলে মনে করেন বক্তারা।
আলোচনা সভা শেষে খাগড়াছড়ির মথুরা বিকাশ ত্রিপুরা, বান্দরবানের ইয়াংঙান ম্রো, খাগড়াছড়ির কি.ভি. দেবাশীষ চাকমা, রাঙামাটির চন্দ্রসেন তঞ্চঙ্গ্যা, বান্দরবানের জিংমুন বম ও খাগড়াছড়ির ইনজেব চাকমাকে সম্মাননা স্মারক প্রদান করা হয়।