জিয়াউল জিয়া ॥
রাঙামাটিতে ফৌজদারী অপরাধ, ডিজিটাল আইন ও অপরাধীদের আটক এবং কোর্টে হস্তান্তর বিষয়ক অবহিতকরণ পুলিশ ম্যাজিস্ট্রেসি সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। শনিবার দুপুরে চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট সম্মেলন কক্ষে এই সভা অনুষ্ঠিত হয়।
সভায় উপস্থিত ছিলেন জেলা চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মো. আবু হানিফ, ট্যুরিস্ট পুলিশের পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মহিউল ইসলাম, অতিরিক্ত চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ সাহাব উদ্দিন, সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যজিস্ট্রেট ফাতেমা বেগম মুক্তা, কোহিনুর আক্তার, ইশরাত জাহান পুনন, স্বর্ণ কমল সেন, মো. জামসেদ আলম, জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপারের প্রতিনিধি বৃন্দ, বিভিন্ন থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
এসব বক্তারা বলেন, পুলিশ মাঠ পর্যায়ে বিভিন্ন মামলা করে অপরাধীদের আটক করে কোর্টে হস্তান্তর করে। সেইসব ক্ষেত্রে কিছু কিছু সময় মামলার কাগজ ও স্থান উল্লেখ না করায় আপরাধী আইনের ফাঁক দিয়ে বের হয়ে যায়। তাই মামলা করার সময় পুলিশ কর্মকর্তারা সঠিকভাবে তথ্য উপস্থাপন করা গেলে অপরাধীরা আইনের ফাঁক দিয়ে বের হতে পারবে না অন্যদিকে নিরপরাধী কেউ সাজা পাবে না। বক্তারা আরও বলেন, আদালতে মামলার দ্রুত বিচার শেষ করা যায় তাহলে মামলা জটও কমে আসবে। তাই এই বিষয়ে সকলে মিলে কাজ করলেই সম্ভব হবে।
অতিরিক্ত চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ সাহাব উদ্দিন বলেন, আসামির কোনও সম্পত্তি ক্রোক করতে দেখা যায় না। আসামি যখন পালিয়ে থাকে তখন তার সম্পত্তি ক্রোক করলে স্থানীয়ভাবে সাধারণ মানুষ আইনের প্রতি শ্রদ্ধা বাড়বে। তিনি আরও বলেন, ছোট ছোট মামলার ক্ষেত্রে প্রবেশন দেয়া হয় আদালত থেকে। আলামত, ওয়ারেন্ট জারি এই বিষয়ে পুলিশ কর্মকর্তাদের আরও যতœবান হওয়ার আহ্বান জানানো হয়।
ট্যুরিস্ট পুলিশের পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মহিউল ইসলাম বলেন, মাদক মামলাসহ গুরুত্বপূর্ণ মামলায় অবশ্যই ঘটনাস্থলেই ছবি তুলে রাখতে হবে। তা পরিবর্তিতে এটি মামলা পরিচালনা সহজ হবে এবং পরে সাক্ষীরা অস্বীকার করার সুযোগ থাকে না। তিনি আরও বলেন, অনলাইনের প্রতারণার শিকার হচ্ছে সাধারণ মানুষ, তাদের রেজিস্টার চেক করার ক্ষমতা পুলিশের কাছে দেয়া আছে। এসব ক্ষেত্রে পুলিশ ভুমিকা রাখলে মানুষ প্রতারণা শিকার থেকে রক্ষা পাবে।
চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মো. আবু হানিফ বলেন, এই সভার উদ্দেশ্য পুলিশ ও ম্যাজিস্ট্রেটদের মধ্যে কাজের গতি বাড়ানো। মাঠ পর্যায়ে আইন-শৃঙ্খলা ও মামলা সংক্রান্ত নিয়ে কাজ করেন পুলিশ। অনেক ক্ষেত্রে কাগজপত্রে ত্রুটি থাকায় মামলার আসামি আইনের ফাঁক দিয়ে বের হয়ে যায়। আবার অনেকের জামিন পেতে সময় লেগে যায়। তাই বিচারপ্রার্থীরা যাতে সঠিক বিচার পায় সেটাই আজকে সভার মুল বিষয় এবং সেই লক্ষ্যে কাজ করতে হবে।