জিয়াউল জিয়া
রাঙামাটি পৌরসভার সামনের খেলার মাঠে ফুলের বাগানের নামে জনদুর্ভোগ সৃষ্টির প্রতিবাদে মানববন্ধন করেছে পৌর নাগরিকরা।
মঙ্গলবার সকালে রাঙামাটি পৌরবাসীর ব্যানারে পৌরসভার প্রধান ফটকের সামনে ঘন্টাব্যাপি এই কর্মসূচী পালন করা হয়।
মানববন্ধনে ৭নং ওয়ার্ডের স্থানীয় বাসিন্দা মো. কামাল উদ্দিন, গ্রীন কমিউনিটির সভাপতি আব্দুল আল মামুন, জেলা দূর্নীতি প্রতিরোধ কমিটির সভাপতি মো. ওমর ফারুক, পৌরসভার ৭নং ওয়ার্ডের সাবেক কমিশনার মো. রবিউল আলম, রাঙামাটি জাসাস এর সভাপতি মো. কামাল হোসেন, জেলা যুবদলের যুগ্ম সাধারন সম্পাদক মো. নাজিম উদ্দিন, জেলা বিএনপি’র সাংগঠনিক সম্পাদক মো. সাইফুল ইসলাম (শাকিল)সহ বিভিন্ন স্কুল কলেজের ছাত্র-ছাত্রীবৃন্দ এবং রাজনৈতিক ও সামাজিক সংগঠনের নেতারাও উপস্থিত ছিলেন।
এসময় বক্তারা বলেন, পৌরসভার এই খোলা স্থানটিতে শহরের বিভিন্ন সামাজিক, সাংস্কৃতিক এবং রাজনৈতিক কর্মকান্ড হয়ে থাকে। একই সাথে বিকেলে এই এলাকাসহ আশেপাশের শিশুরা এই মাঠে খেলাধুলা করে থাকে। পৌরসভার প্রশাসক জনগুরুত্বপূর্ণ কাজ বাদ দিয়ে জনবিরোধী কাজে লিপ্ত হয়েছেন।
তারা অভিযোগ করেন, এই পৌর প্রশাসক বিগত সরকারের ফ্যাসিজম ধরে রাখতে কাজ করছে। তাই এই ধরনের কাজ থেকে পৌর প্রশাসক যদি সরে না আসেন, তাহলে কঠোর আন্দোলন করতে বাধ্য হবে পৌরবাসী। জনগুরুত্বপূর্ণ এই মাঠকে উন্মুক্ত রাখার দাবিও জানানো হয় মানববন্ধন থেকে।
রাঙামাটি জাসাস এর সভাপতি মো. কামাল হোসেন বলেন, পৌরসভাটি ৭নং ওয়ার্ডে অবস্থিত। এই এলাকায় কোন খোলা মাঠ নাই। এই খেলা মাঠটি এখন ফুলের বাগানের নামে উন্মুক্ত মাঠটি এখন বেহাত হয়ে যাচ্ছে। এই এলাকার শিশুকিশোরা খেলা জন্য আর কোন মাঠ থাকলো না। এখন এরা কোথায় যাবে?
জেলা দূর্নীতি প্রতিরোধ কমিটির সভাপতি মো. ওমর ফারুক বলেন, পৌরসভায় জনপ্রতিনিধি না থাকায় পৌরপ্রশাসক তার ইচ্ছে মত কাজ করছেন। যেখানে জনসাধারনের আকাক্সক্ষা পূরণ হচ্ছে না। জনগুরুত্বপূর্ণ নানা সেবা বাদ দিয়ে জনবিরোধী কাজ করে যাচ্ছেন। তাতে জনসাধারণ ফুঁসে উঠছে।
জেলা বিএনপি’র সাংগঠনিক সম্পাদক মো. সাইফুল ইসলাম (শাকিল) বলেন, রাঙামাটি ভৌগলিকভাবে টিলার উপরে অবস্থান। যার ফলে খোলা বা খেলার মাঠের সংকট রয়েছে। যেকয়টি খোলাস্থান রয়েছে তারমধ্যে পৌরসভার এই স্থানটি। এই মাঠে বিভিন্ন সামাজিক, সাংস্কৃতিক এবং রাজনৈতিক কর্মকান্ড হয়ে থাকে। আমরা দেখতে পাচ্ছি পৌর প্রশাসক উন্মুক্ত এই স্থানটিতে ফুলের বাগানের নামে খোলামাঠটি দখল করছেন। তিনি আরও বলেন, আমরা চাইবো দ্রুত এমন সিদ্ধান্ত থেকে ওনি সরে আসবেন। যদি তা না হয় তাহলে কঠোর আন্দোলন করতে আমরা বাধ্য হবো।