জিয়াউল জিয়া
দেশের বিভিন্ন স্থানে প্রতিমা ভাঙচুর ও সনাতনী বাড়িঘরে অগ্নিসংযোগের প্রতিবাদে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে রাঙামাটিতে। শনিবার বিকেলে শহরের জেলা প্রশাসকের প্রধান ফটকের সামনে সনাতনী ছাত্র সমাজের ব্যানারে ঘন্টাব্যাপি এই কর্মসূচি পালন করা হয়।
বিক্ষোভ সমাবেশে বক্তব্য রাখেন, টুটুল দে, আদিত্য কর, হিমাদ্রি দে, শান্তনা দাশ, সৌতিক বিশ্বাস, প্রত্যুষ চক্রবর্তী, অশেষ চন্দ ঘটক প্রমুখ।
বক্তারা বলেন, গত ৫ আগস্ট পরিবর্তিত প্রেক্ষাপটে সারা দেশে মন্দির ও সনাতনীদের বাসা বাড়িতে হামলা করেই চলছে একদল দুর্বৃত্তরা। কবে আমরা শান্তিতে বসবাস করতে পারবো এদেশে। আমাদের কি দোষ, আমরা কি এদেশের নগরিক না? তাহলে আমাদের বাসাবাড়ি ও মন্দিরে কেন পাহারা দিতে হবে?
বক্তারা আরও বলেন, গতকাল শুক্রবার রাতে চট্টগ্রামে চেরেগী মোড়ে গণেশ প্রতিমা নিয়ে যাওয়ার সময় হামলা, খুলনায় উৎসব মন্ডলের ওপর হামলা, ঠাকুরগাঁও সনাতনী বাড়িঘরে অগ্নিসংযোগের ঘটনায় প্রশাসনের ভূমিকা নিয়ে আমরা হতাশ। সকল ঘটনার নিন্দা জানিয়ে দোষীদের দ্রæত বিচারের দাবি জানান বক্তারা। আমরা এদেশের নাগরিক, সকল সম্প্রদায়ের মানুষজন সবাই একসাথে বসবাস করতে চাই। এই সরকারের কাছে আমাদের নিরাপত্তা চাই।
রাঙামাটি বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ^বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী শান্তনা দাশ বলেন, আমরা আমাদের অধিকার নিয়ে যখনই নামি, তখনই একদল মানুষ আমাদের ট্যাগ লাগিয়ে দেয়। এই ট্যাগ লাগানো বন্ধ করুন। আমরা রাজপথে নামতে চাই না। আমরা আমাদের নিরাপত্তা চাই। নিরাপদে বাঁচতে চাই।
হিমাদ্রি দে বলেন, আমরা বাংলাদেশর নাগরিক। আমরা সংখ্যালঘু হয়ে বাঁচাতে চাই না। দেশের সরকার পরিবর্তন হলেই প্রথমে আমাদের ওপর হামলা করা হয়। কেন বার বার আমরা হামলার শিকার হচ্ছি?
টুটুল দে বলেন, একমাস ধরে কয়েকবার রাজপথে নামতে রয়েছে আমাদের নিরাপত্তা নিয়ে। একদিনের গণেশ পূজায় এই ধরনের হামলার ঘটনা ঘটেছে। সামনে শারদীয় দুর্গাপূজা রয়েছে। আমরা আমাদের উৎসব পালন করতে পারবো কিনা আমার দুচিন্তায় রয়েছি।