‘সরকারি ঘোষণা অনুযায়ী রাঙামাটির জেলার ১১৫টি প্রাথমিক বিদ্যালয় ইতোমধ্যে সরকারি হয়েছে এবং এসব বিদ্যালয়গুলির ৬১৫ জন শিক্ষক ইতিমধ্যে নিয়োগপত্র পেয়েছে। পরবর্তীতে প্রেরিত আরও ৩৬টি বিদ্যালয়ের মধ্যে ২৭টি বিদ্যালয় সরকারিকরণের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন রাঙামাটি জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা একেএম রিয়াজুল হক। তিনি সোমবার রাঙামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদের নভেম্বর মাসের মাসিক সভায় নিজ বিভাগের সার্বিক অবস্থা জানাতে গিয়ে এই তথ্য দেন। জেলা পরিষদ সম্মেলন কক্ষে এই সভায় অনুষ্ঠিত হয়।
সভায় জেলা মৎস্য কর্মকর্তা জানান, ইতোমধ্যে জেলার ৮টি উপজেলায় ১৯,৩৪৬ প্রকৃত জেলে চিহ্নিত হয়েছে। এরমধ্যে রাঙামাটি সদর উপজেলায় ৪,৫১০জন, লংগদুতে ৬,৫৪৬জন, বাঘাইছড়িতে ১,৮২৯জন, নানিয়ারচরে ১,৫১৯জন, কাপ্তাইয়ে ৫৪৮জন, বিলাইছড়িতে ১,০১২জন, জুরাছড়িতে ৪২৮জন এবং বরকলে ২,৯৫৪জন। খুব শীঘ্রই এসব জেলেদের পরিচয়পত্র বানানোর লক্ষ্যে ছবি তোলার কাজ শুরু হবে এবং এর ফলে প্রকৃত জেলে পরিবারগুলি সরকার কর্তৃক প্রদেয় সব ধরনের সুযোগ সুবিধা লাভ করবে বলেও জানান তিনি।
জেলা পরিষদের মুখ্য নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ ইরফান শরীফ এর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত মাসিক সভায় সভাপতিত্ব করেন রাঙামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান নিখিল কুমার চাকমা। পরিষদের সদস্য অংসুই প্রু চৌধুরী, বৃষকেতু চাকমা, শামীমা রশীদ, অভিলাষ তংচঙ্গ্যা এবং পরিষদের অন্যান্য কর্মকর্তাসহ হস্তান্তরিত বিভাগের কর্মকর্তাগণ এসময় উপস্থিত ছিলেন।
পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে সাড়ে তিন কোটি টাকা ব্যয়ে ৫বছর মেয়াদে জেলার তুলা চাষ উন্নয়ন এবং সম্প্রসারণে একটি প্রকল্প হাতে নেয়া হয়েছে বলে সভাকে জানান জেলা তুলা উন্নয়ন কর্মকর্তা।
সভাপতির বক্তব্যে পরিষদ চেয়ারম্যান ক্রীড়া ক্ষেত্রে আরো গতিশীলতা বাড়ানোর পাশাপাশি মেয়েদের হ্যান্ডবল ও ফুটবলের প্রতিও গুরুত্ব দেওয়ার জন্য ক্রীড়া কর্মকর্তাকে নির্দেশ দেন। একই সাথে তিনি মৎস্য বিভাগের কর্মকর্তাকে জেলেদের নাম নিবন্ধন যেন স্বচ্ছতার সাথে করা হয় এবং প্রকৃত জেলেদের নামই যেন নিবন্ধিত হয় সেদিকে লক্ষ্য রাখার জন্য নির্দেশনা প্রদান করেন।