নিজস্ব প্রতিবেদক, লংগদু
জাতীয় প্রাথমিক শিক্ষা পদক প্রতিযোগীতায় রাঙামাটি জেলায় শ্রেষ্ঠ প্রধান শিক্ষক নির্বাচিত হয়েছেন লংগদু উপজেলার মোমিনুল হক। তিনি উপজেলা পর্যায়ে শ্রেষ্ঠ নির্বাচিত হয়ে জেলা পর্যায়ের প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করে বিজয়ী হয়েছেন। প্রধান শিক্ষক মোমিনুল হক উপজেলার বগাচত্বর ইউনিয়রে উগলছড়ি মহাজনপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষক (চ.দা) হিসেবে কর্মরত রয়েছেন।
উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিস সূত্রে জানা যায়, উপজেলা পর্যায়ে শিক্ষা পদক প্রতিযোগীতায় বিজয়ীরা জেলা পর্যায়ে প্রতিযোগীতায় অংশ নেন। সেখানে লংগদু উপজেলা থেকে শুধুমাত্র প্রধান শিক্ষক মোমিনুল হক বিজয়ী হন। প্রতিযোগীতার বিভিন্ন ক্যাটাগরিতে যাচাই বাছাই শেষে গত ১৮ সেপ্টেম্বর রাঙামাটি পার্বত্য জেলার শ্রেষ্ঠ শিক্ষক, শিক্ষিকা, কর্মকর্তা, কর্মচারী, ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠান বাছাই কমিটির সভাপতি জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও সদস্য সচিব জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তার স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য নিশ্চিত করা হয়।
প্রধান শিক্ষক মোমিনুল হক ২০০৩ সালে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারি শিক্ষক হিসেবে চাকুরীতে যোগদান করেন। এরপর ২০১৮ সালে প্রধান শিক্ষক (চ.দা) হিসেবে পদোন্নতি পান। এছাড়াও তিনি মাস্টার ট্রেইনার হিসেবে গনিত, ইংরেজি ও শারীরিক শিক্ষা বিষয়ে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের প্রশিক্ষন দিয়ে থাকেন। মেধাবী এই শিক্ষকের কবিতা লেখার প্রতিও আছে প্রবল আকর্ষণ। ইতোমধ্যে তার বাংলার বিজয় কাব্য, কবিদের কাব্য কথা ও কাব্যের দহন নামে যৌথ কাব্যগ্রন্থ প্রকাশিত হয়েছে। প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা জীবনে ¯œাতকত্তোর সম্পন্ন করা মোমিনুল হকের রয়েছে ব্যাচেলর অব এডুকেশন (বিএড) ডিগ্রী।
প্রধান শিক্ষকের এমন সফলতায় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়েছেন শিক্ষা পরিবারের সাথে যুক্ত শিক্ষা কর্মকর্তা, শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও শুভাকাঙ্খিরা। এ বিষয়ে প্রধান শিক্ষক সমিতির লংগদু উপজেলার সভাপতি সুনীতি চাকমা বলেন, মোমিনুল হক অত্যন্ত মেধাবী ও দক্ষ একজন শিক্ষক। তিনি শিক্ষার্থীদের পড়ালেখার পাশাপাশি খেলাধুলা ও অন্যান্য সৃজনশীল কর্মকান্ডকে প্রাধান্য দিয়ে গড়ে তোলার চেষ্টা করেন।
জেলা পর্যায়ে প্রথমবারের মতো শ্রেষ্ঠ প্রধান শিক্ষক হওয়ার অনুভূতি জানতে চাইলে মোমিনুল হক বলেন, এই অর্জন অবশ্যই আনন্দের। পাশাপাশি এই অর্জন আমার দায়িত্ব বাড়িয়ে দিয়েছে এবং শিক্ষার্থীদের কল্যাণে কাজ করার প্রেরণা যুগিয়েছে। শিক্ষার্থীরা যাতে সৎ ও দেশপ্রেমিক হিসেবে গড়ে উঠতে পারে তাদেরকে সেই পথ দেখানোই আমাদের দায়িত্ব।