শংকর হোড়
রাঙামাটি জেলা ছাত্রলীগের সম্মেলনের দুই মাস পর অবশেষে ৬২ সদস্য বিশিষ্ট কমিটি অনুমোদন দিয়েছে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ। শনিবার রাতে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের এক বিজ্ঞপ্তিতে আগামী এক বছরের জন্য কমিটি অনুমোদনের বিষয়টি জানান কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সভাপতি সাদ্দাম হোসেন ও সাধারণ সম্পাদক শেখ ওয়ালী আসিফ ইনান। প্রায় নয় বছর পর গত ২৯ এপ্রিল ছাত্রলীগের সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। এর আগে সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয় ২০১৫ সালের ২জুন।
এদিকে ঘোষিত জেলা ছাত্রলীগের কমিটিতে সভাপতির দায়িত্ব পেয়েছেন সাবেক কলেজ ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মো. রনি হোসেন। এছাড়া তিনি ভেদভেদী পৌর জুনিয়র স্কুল কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক ও ৬নং ওয়ার্ড ইউনিট কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেন। তিনি বর্তমানে রাঙামাটি সরকারি কলেজে রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিষয়ে মাস্টার্সে অধ্যয়নরত।
এছাড়া সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পেয়েছেন সাবেক জেলা ছাত্রলীগের উপ সাহিত্য বিষয়ক সম্পাদক সোহাগ চাকমা। তিনি এর আগে চট্টগ্রাম সরকারি সিটি কলেজের ছাত্রলীগের কর্মী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। বর্তমানে তিনি চট্টগ্রাম সিটি কলেজে রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিষয়ে মাস্টার্সে অধ্যয়নরত।
কমিটির অন্যান্যনা হলেন, সহ-সভাপতি যথাক্রমে দীপংকর দে, অভি মারমা, মঞ্জুরুল কবির ইমন, খালেদ সাইফুল্ল্যা রুবেল, হাসান মুরাদ, সোহেল চাকমা, তারেক হোসেন মাহিম, বেলাল খান, বনি মাহমুদ, তপন ত্রিপুরা, জাকির হোসাইন, একেএম ফজলুল হক সুজন, শাফিন মাহমুদ চৌধুরী প্রিয়, বিজয় বড়–য়া শোভন, মো. আশরাফুল হক, আসিফ সালেহ বিন কামাল নোয়েল, মো. আব্দুল মোতালেব, ফাতেমা তুজ জোহরা রেশমী, ইউনুস মিয়া, নোবেল চাকমা, ইমাম হাসান, থুই মং চৌধুরী, মিজানুর রহমান চৌধুরী মাহিন, আরিফুল ইসলাম মানিক, এবিএম জোনায়েত, আজাদ আজিম রিমন, মান্না পাল, সাব্বির রহমান, মো. শাকিল আহমেদ, সাদমান আহমেদ তামিম, অপু দেবনাথ, মংসুইক্য মারমা(মং), মো. পারভেজ, উজ্জ্বল চাকমা, তাজুল ইসলাম রাজু, রুবেল ঘোষ, মিনহাজুর রহমান, মিঠু বড়–য়া, মো. রাকিবুর রহমান, বকুল চাকমা।
যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক পদে যথাক্রমে সাইথোয়াই অং চৌধুরী(সুইথি চৌধুরী), আনোয়ার হোসেন কায়সার, সামশুল আলম, মো. সোহেল রানা, এন্টন চাকমা, আসাদুজ্জামান ইফাত, মুন্না দেব, প্রত্যয় চাকমা, মো. জুয়েল উদ্দিন, শুভ চৌধুরী।
সাংগঠনিক সম্পাদক পদে নেছার উদ্দিন হৃদয়, বর্ষা চাকমা, তাসকিয়া রহমান, সুজয় চাকমা, আকিব মাহমুদ, মীর মো. মোসলেহ উদ্দিন ইমরুজ, অয়ন ত্রিপুরা শুভ, মো. নাজমুল হাসান বাপ্পু, মো. ইউসুফ হোসেন, মধু মঙ্গল তঞ্চঙ্গ্যা নাম ঘোষণা করা হয়।
দায়িত্ব পাওয়ার পর জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি মো. রনি হোসেন অনুভূতি ব্যক্ত করতে গিয়ে বলেন, জেলা ছাত্রলীগের মতো একটি পবিত্র দায়িত্ব পেয়ে আমি অনেক খুশি ও আনন্দিত। আমি কৃতজ্ঞতা ও ধন্যবাদ জ্ঞাপন করছি আমাদের প্রিয় অভিভাবক দীপংকর তালুকদার ও হাজি মো. মুছা মাতব্বরকে। এছাড়া ধন্যবাদ জ্ঞাপন করছি কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সভাপতি ও সম্পাদককে। তারা যে বিশ্বাস রেখে আমার ওপর দায়িত্ব অর্পণ করেছে, আমি সেটা পালনে সর্বোচ্চ চেষ্টা করে যাবো। তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী স্মার্ট বাংলাদেশের যে ঘোষণা দিয়েছে, আমিও এই এলাকার ছাত্রসমাজকে স্মার্ট বাংলাদেশের অংশীদার করার লক্ষ্যে এবং স্মার্ট শিক্ষায় যাতে সকলে দীক্ষিত হতে পারি, সে লক্ষ্যে কাজ করে যাবো। সামনের দিনগুলোতে দায়িত্ব পালনে তিনি সকলের দোয়া ও সহযোগিতা চেয়েছেন।
জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক সোহাগ চাকমা বলেন, যেকোনও নেতৃত্ব গর্বের বিষয় আর সেটা যদি হয় বাংলাদেশ ছাত্রলীগের তবে সেটা আরো বেশি গর্বের ও সম্মানের। আমি কৃতজ্ঞতা ও ধন্যবাদ জানাচ্ছি আমাদের আওয়ামী পরিবারের অভিভাবক দীপংকর তালুকদারসহ সকল নেতৃবৃন্দকে এবং কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সভাপতি ও সম্পাদকের প্রতি। তিনি বলেন, সংগঠন গতিশীল রাখার লক্ষ্যে এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ঘোষিত স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে ছাত্রসমাজকে নিয়ে কাজ করে যাবো। তিনি সকলের আশীর্বাদ ও সহযোগিতা কামনা করেছেন।
গত শনিবার রাতে কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি সাদ্দাম হোসেন ও সাধারণ সম্পাদক শেখ ওয়ালী আসিফ ইনান সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে তাদের ব্যক্তিগত আইডিতে কমিটির তালিকা আপলোড করে উল্লেখ করেন, আগামী ০১ (এক) বছরের জন্য বাংলাদেশ ছাত্রলীগ, রাঙামাটি পার্বত্য জেলা শাখা কমিটি অনুমোদন দেয়া হলো।
৬২ সদস্য বিশিষ্ট জেলা ছাত্রলীগের কমিটি অনুমোদনের বিষয়টি নিশ্চিত করে জেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক হাজি মো. মুছা মাতব্বর বলেন, নতুন নেতৃত্ব বঙ্গবন্ধু ও দলীয় আদর্শে এবং প্রধানমন্ত্রী ঘোষিত স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে ছাত্রসমাজকে নিয়ে কাজ করে যাবে এমনটাই আশা রাখছি। ছাত্রসমাজের আশা-আকাক্সক্ষার প্রতিফলনে নতুন কমিটি কাজ করবে এবং দলীয় সকল কর্মসূচি নিষ্ঠার সাথে পালনে সর্বদা সজাগ থাকবে এমনটা প্রত্যাশা করেন জেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক।