মিশু মল্লিক
‘আপনারা জায়গা নির্ধারণ করুন, রাঙামাটিতে দৃষ্টিনন্দন মন্দির তৈরি করে দেবো আমরা। যেই মন্দির দেখতে দেশ বিদেশ থেকে লোক আসবে। শনিবার সকালে শহরের ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী সাংস্কৃতিক ইন্সটিটিউটে বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদ রাঙামাটি জেলা শাখার দ্বি বার্ষিক সম্মেলন উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এই মন্তব্য করেন খাদ্য মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি ও রাঙামাটির সাংসদ দীপংকর তালুকদার এমপি।
তিনি আরো বলেন, প্রত্যেকটি ধর্মের লক্ষ্য হলো ভালো ও সৎ মানুষ তৈরি করা। আমরা এমন একটি বাংলাদেশ তৈরি করবো যেটি হবে অসাম্প্রদায়িক ও ধর্মনিরপেক্ষ বাংলাদেশ। বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নই ছিলো বাংলাদেশ হবে অসাম্প্রদায়িক সোনার বাংলাদেশ।
সম্মেলনে উদ্বোধক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদ কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. চন্দ্রনাথ পোদ্দার এবং গেস্ট অব অনার হিসেবে উপস্থিত ছিলেন রাঙামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান অংসুইপ্রæ চৌধুরী। বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদ রাঙামাটি জেলা শাখার সভাপতি অমলেন্দু হাওলাদার ও সদস্য লিটন দেবের সঞ্চালনায় সভায় স্বাগত বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদ, রাঙামাটি জেলা শাখার সদস্য সচিব ও রাঙামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদ সদস্য বিপুল ত্রিপুরা। বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ পূজা উদযাপন কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-সভাপতি অ্যাডভোকেট প্রিয়রঞ্জন দত্ত, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক শ্যামল কুমার পালিত, সাংগঠনিক সম্পাদক গোপাল সরকার, সহ-প্রচার সম্পাদক অ্যাডভোকেট জহরলাল দাশ, সদস্য বিপুল কুমার দত্ত, বাংলাদেশ হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদ রাঙামাটি জেলার সাধারণ সম্পাদক ইন্টুমনি তালুকদার, বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদ রাঙামাটি জেলা শাখার যুগ্ম আহŸায়ক ত্রিদিব কান্তি দাশ, যুগ্ম আহবায়ক পঞ্চানন ভট্টাচার্য, সদস্য অ্যাডভোকেট বিউটি দত্ত, সদর উপজেলার সদস্য সচিব সুব্রত দে, সনাতন যুব পরিষদ রাঙামাটি জেলার সভাপতি অজিত শীল। এছাড়াও রাজস্থলী, কাউখালী ও বাঘাইছড়ি উপজেলার নেতৃবৃন্দ বক্তব্য রাখেন।
সভায় বক্তারা বলেন, দীর্ঘদিন পর পূজা উদযাপনের সম্মেলন অনুষ্ঠিত হচ্ছে। সম্মেলনের মাধ্যমে নতুন যারাই নেতৃত্ব আসবে তাদের কাজই হবে সকল দলাদলি ভুলে গিয়ে সনাতনী সমাজের কল্যাণে ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করা। অনেক বক্তা এই সম্মেলনকে রাঙামাটির সনাতনীদের জন্য “সনাতনী মুক্তি” দিবস হিসেবে আখ্যায়িত করেন। সামনের দুর্গাপূজায় সকলকে নিরাপত্তার বিষয়ে সজাগ থাকতে বলেন বক্তারা।
আলোচনা সভার মাধ্যমে সম্মেলনের প্রধান অধিবেশন শেষ হয়। দ্বিতীয় অধিবেশনে জেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি হিসেবে অমলেন্দু হাওলাদার ও সাধারণ সম্পাদক হিসেবে বিপুল ত্রিপুরাকে মনোনীত করা হয়।