রাঙামাটি সরকারি মেডিকেল কলেজ প্রতিষ্ঠার পর গঠিত বাংলাদেশ ছাত্রলীগের কেন্দ্র ঘোষিত প্রথম কমিটিতেই সভাপতির দায়িত্ব পেলেন তন্ময় চৌধুরী। সাধারন সম্পাদক হয়েছেন আয়াদ শরীফ সিরাজ।
রবিবার রাতে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ ঘোষিত ২৭ সদস্যের রাঙামাটি মেডিকেল কলেজ ছাত্রলীগের অন্যান্য পদে যারা দায়িত্ব পেয়েছেন তারা হলেন সহসভাপতি অর্পণ ত্রিপুরা,অনুপম ভট্টাচার্য,সুমাইয়া বিনতে আমিন,একেএম কামরুজ্জামান রিয়াদ,ইরফান বিন কায়েস,ক্যাচিংনু মারমা,মিং এ মং মারমা,আফিফা আক্তার তৃতীয়া এবং মোহাম্মদ ফাহিম মুনতাসির।
যুগ্ম সাধারন সম্পাদক হয়েছেন বিক্রমাধিত্য চাকমা,জুনাইদ মাশরুর আলী,মংমং মারমা,বর্তী চাকমা,প্রাঙ্গণ মল্লিক,আসিফ ইবনে হোসাইন,দীপ্ত দে এবং আকতার হোসেন আকিব।
সাংগঠনিক সম্পাদকের দায়িত্ব পেয়েছেন ইমতিয়াজ আহসান,চিংসামং মারমা,জিয়াদুল হক,কমল ত্রিপুরা,অংক্যচিং মারমা,অভিজিৎ বৈদ্য,আহসানুল সাফিন আহমেদ এবং সৃজন কান্তি দে।
আগামী এক বছরের জন্য এই কমিটিকে দায়িত্বভার প্রদান করা হয়েছে বলে বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ।
প্রতিষ্ঠার পর থেকে এই ক্যাম্পাসে তৎকালীন ছাত্রনেতা স্নেহাশীষ চক্রবর্তীর নেতৃত্বে ছাত্রলীগ এককভাবে কার্যক্রম চালিয়ে আসলেও একদিন ধরে সেখানে আনুষ্ঠানিক কেন্দ্রঘোষিত কোন কমিটি ছিলো না। এটিই এই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ছাত্রলীগের প্রথম কোন কমিটি।
সভাপতি তন্ময় চৌধুরী বলেন, ‘অনেক চড়াই উতরাই পেরিয়ে আমাদের মেডিকেল কলেজের এই প্রতিষ্ঠাকালীন কমিটি। ডাঃ স্নেহাশিস চক্রবর্তী দাদা, ডাঃ জাহিদ ভাই এবং ডাঃ শ্রী কুশ বড়ুয়া অর্ণব দাদা’রা সহ অনেকের অগণিত ত্যাগ এবং তিতিক্ষা রয়েছে এই কমিটির পিছনে, তিলে তিলে একটি একটি ইট দিয়ে আজকে এই অট্টালিকা পরিপূর্ণতা পেল। অশেষ কৃতজ্ঞতা পাহাড়ের জন মানুষের নেতা মাননীয় এমপি দীপংকর তালুকদার মহোদয়ের প্রতি, যার সঠিক দিকনির্দেশনা ছাড়া এই যাত্রা সম্ভব ছিল না। অনেক ধন্যবাদ বাংলাদেশ ছাত্রলীগ, কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদের সংগ্রামী সভাপতি সাদ্দাম হোসেন এবং বিপ্লবী সাধারণ সম্পাদক শেখ ওয়ালী ইনান ভাইয়ের প্রতি…আমাকে যোগ্য মনে এই গুরুদায়িত্ব অর্পনের জন্য। সবিশেষে, রাঙামাটিবাসীর ভালবাসার এই ঋণ আমি কোনদিনো শোধ করতে পারবো না। আমাকে সকলে প্রার্থনায় রাখবেন যাতে সকল প্রতিকূলতার উর্ধে গিয়ে জনমানুষের সেবা করে যেতে পারি।’