জিয়াউল জিয়া
আইন মেনে সড়কে চলি, স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ে তুলি এই স্লোগানে রাঙামাটিতে পালিত হয়েছে জাতীয় নিরাপদ সড়ক দিবস।
রোববার সকালে দিবসটি উপলক্ষে শহরের হ্যাপির মোড় থেকে র্যালি বের করা হয়। র্যালি প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেব উপস্থিত ছিলেন রাঙামাটির জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মেশারফ হোসেন খান, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক মোঃ সাইফুল ইসলাম, পৌরসভার মেয়র আকবর হোসেন চৌধুরী, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) জাহিদুল ইমলাম, রাঙামাটি সড়ক বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী সবুজ কান্তি চাকমা, বিআরটিএ এর সরকারী পরিচালক উসমান সরোয়ার আলম, জেলার মোটর মালিক ও শ্রমিক নেতারা উপস্থিত ছিলেন।
এসময় বক্তরা বলেন, গড়ে দেশে প্রতিদিন ৬০-৭০ টি দুর্ঘটনা ঘটে যাতে প্রায় ১০-১২ জন মানুষ সড়কে প্রাণ হারায়। এর মূল কারন চালকদের প্রশিক্ষণ ও আইন মেনে সড়কে চলাচল না করা। সারা দেশের মতই রাঙামাটি শহরে মানুষের চেয়েও যানবহনের সংখ্যা বেশি। সড়কে চলকরা কোন নিয়ম মানে না। যত্রতত্র যাত্রী উঠামানা এবং সড়কে পাশে যানবাহন রেখার ফলে সড়কে যানজট এবং দুর্ঘটনা বন্ধ করা যাচ্ছে না।
আইন থাকলেও সেটা প্রয়োগ না হওয়ায় সড়কে শৃঙ্খলা ফেরানো যাচ্ছে না। তাই এর কঠোর প্রয়োগে জোর দিলেন সভায় বক্তারা।
বক্তারা আরও বলেন, সকালে বাড়ি থেকে কাজে বের হয়ে সড়কে বের হলে নিরাপদে বাড়ি ফেরা যাবে কিনা তার একমাত্র সৃষ্টিকর্তারই জানে। সড়ক ব্যবহারে সচেতনতা বৃদ্ধি পেলে সড়ক দুর্ঘটনা বন্ধ করা সম্ভব।
আলোচনা সভায় রাঙামাটি পৌরসভার মেয়র আকবর হোসেন চৌধুরী বলেন, রাঙামাটি শহরটি পাহাড়ের ওপর অবস্থিত হওয়ায় সড়ক বৃদ্ধি বা বড় করার সুযোগ খুবই কম। শহরের মানুষের তুলনায় সিএনজি বেশি। যাত্রী নেয়ার জন্য তাদের মধ্যে প্রতিযোগিতা দেখা যায়। যার ফলে দুর্ঘটনা বাড়ছে। শহরের কিছু গুরুত্বপূর্ণ বিপদজনক মোড় আছে। সেগুলো ঠিক করা এবং একটি নির্দিষ্ট স্থান নির্ধারন করে দেয়া। এই নির্ধারিত স্থান ছাড়া আর অন্য কোন স্থানে যাত্রী উঠা নামা করা যাবে না। আমি সিএনজির জন্য বনরূপায় স্টেশন করে দেয়ার পরর তারা সেখানে থাকে না। চালকদের মধ্যে আইন মানার কোন চেষ্টা নাই। এভাবে চলতে পারে না। আমি অনেকবার বলেছি সিএনজি চালকদের পোশাক নির্ধারণ করতে হবে। তাহলে শহরে সিএনজি দূর্ঘটনা কমে আসবে।’