ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি) ও সচেতন নাগরিক কমিটি (সনাক) রাঙামাটি এর উদ্যোগে রাঙামাটি জেনারেল হাসপাতালে সেবাগ্রহীতাদের সাথে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের যৌথ সভা অনুষ্ঠিত হয়। মঙ্গলবার হাসপাতালে এই সভা অনুষ্ঠিত হয়।
সভায় সভাপতিত্ব করেন রাঙামাটি পার্বত্য জেলার সিভিল সার্জন ডাঃ শহীদ তালুকদার এবং স্বাগত বক্তব্য প্রদান করেন সনাকের স্বাস্থ্য বিষয়ক উপকমিটির সদস্য ও সনাক সহ সভাপতি জনাব অমলেন্দু হাওলাদার। সভায় হাসপাতালে সেবার মানোন্নয়নে সেবাগ্রহীতাবৃন্দ মতামত প্রদানের পাশাপাশি হাসপাতালের বিভিন্ন সমস্যার বিষয়ে উত্থাপন করেন।
হাসপাতালে পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতা, পুরাতন হাসপাতালে ১০ বেডের হাসপাতাল চালু করা, জেলা পরিষদের মাধ্যমে এম্বুলেন্স সচল রাখা, হাসপাতালে ডায়াবেটিকস ও হৃদরোগের ডাক্তারের প্রয়োজনীয়তা, টয়লেট একাধিকবার পরিস্কার পরিচ্ছন্ন রাখা, ঔষধ কোম্পানীর প্রতিনিধিদের নিয়ন্ত্রণে নির্দেশনা প্রদান, বর্হিবিভাগে ডাক্তারবৃন্দ রোগীদের বক্তব্য যথাযথভাবে না শোনা এবং অ্যাম্বুলেন্স ব্যবহারে অনিয়মের বিষয়ে সেবাগ্রহীতাবৃন্দ উত্থাপন করেন।
সনাক সদস্য মোহাম্মদ আলীর পরিচালনায় মুক্ত আলোচনায় অংশগ্রহণ করেন সেবাগ্রহীতা সতীশ ত্রিপুরা, মামুন মিন্টু, আলো রানী আইচ, সৈয়দ ইসমাইল হোসেন, রনেন্দ্র চাকমা রিন্টু এবং সুজন সেন।
কনসালটেন্ট ডাঃ নিহারঞ্জন নন্দী বলেন, হাসপাতালে ডাক্তারবৃন্দের প্রধান দায়িত্ব হচ্ছে মানুষকে সেবা দেয়া। সরকারের সীমাবদ্ধতা ও স্বল্প সুযোগ সুবিধার মধ্যেই নাগরিকবৃন্দের সেবা প্রদান করতে হবে। সেবাদাতা এবং সেবাগ্রহীতা উভয়ের মাঝে ইতিবাচক দৃষ্ঠিভঙ্গি থাকলে উভয়ের মাঝে দুরত্ব কমে আসবে। সনাক সভাপতি চাঁদ রায় বলেন, হাসপাতালের সেবার ক্ষেত্রে নাগরিকবৃন্দের অসীম চাহিদা থাকবে কিন্তু দক্ষ নেতৃত্ব ও ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে সর্বোত্তম সেবা প্রদান করতে হবে। সভাপতির বক্তব্যে সিভিল সার্জন ডাঃ শহীদ তালুকদার বলেন, হাসপাতালের সাথে নাগরিকবৃন্দের সুসম্পর্ক না থাকলে ভাল সেবা নিশ্চিত করা যায় না। নাগরিকদের সাথে সুসম্পর্কের মাধ্য্যমে এবং সকলের সহযোগিতা নিয়ে সেবার মান উন্নয়ন করতে হবে। তা ছাড়া নাগরিকবৃন্দ যদি কোনও অনিয়মের শিকার হয় তাহলে কর্তৃপক্ষকে অবহিত করার জন্য আহ্বান জানান।(বিজ্ঞপ্তি)