ঝুলন দত্ত,হাবিবুল্লাহ মিসবাহ্
রাঙামাটির দ্বিতীয় ধাপে ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে তিনটি উপজেলার মধ্যে কাপ্তাই ও রাজস্থলী উপজেলার বেসরকারি ফলাফল ঘোষণা করা হয়েছে।
মঙ্গলবার তিনটি উপজেলায় ৫১টি ভোট কেন্দ্রেকোন অপ্রীতিকর ঘটনা ছাড়াই ভোট গ্রহণ সম্পন্ন হয়। সকাল ৮ টা থেকে দুপুর পর্যন্ত বিভিন্ন কেন্দ্রে ভোটারের ভিড় দেখা গেলেও দুপুরের পর কেন্দ্র ছিল অনেকটা ফাঁকা।
কাপ্তাই উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে দোয়াত কলম প্রতীকে নাছির উদ্দীন পেয়েছেন ৭ হাজার ৩৬২। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আনারস প্রতীকে আনোয়ারুল ইসলাম চৌধুরী বেবী পেয়েছেন ৬ হাজার ৯৭৩ ভোট। এছাড়া চেয়ারম্যান পদে অপর চেয়ারম্যান প্রার্থী ঘোড়া প্রতীক নিয়ে সুব্রত বিকাশ তনচংগ্যা জটিল পেয়েছেন ৬ হাজার ৪৭ ভোট।
রাজস্থলী উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে আনারস প্রতীকে উবাচ মারমা পেয়েছেন ৭ হাজার ৭৫ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী রিয়াজ উদ্দিন রানা দোয়াত কলম প্রতীকে পেয়েছেন ২ হাজার ১৮ ভোট। রাজস্থলী উপজেলায় ভাইস চেয়ারম্যান ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন।
এছাড়া কাপ্তাই উপজেলায় ভাইস চেয়ারম্যান পদে টিয়া পাখি প্রতীক নিয়ে বিজয়ী হয়েছেন সুইপ্রু মারমা। তাঁর প্রদত্ত ভোট ৮ হাজার ৫৯৭। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্ধি টিউবওয়েল প্রতীক নিয়ে আবদুল হাই খোকন পেয়েছেন ৮ হাজার ২৮৭ ভোট। এছাড়া অন্য ভাইস চেয়ারম্যান পদে উড়োজাহাজ প্রতীক নিয়ে অপর ভাইস চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী মো. কামাল উদ্দিন পেয়েছেন ৩ হাজার ২৯২ ভোট।
মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে কলসি প্রতীক নিয়ে বিজয়ী হয়েছেন বিউটি হোসেন। তাঁর প্রদত্ত ভোট ১০ হাজার ৩৯৯ ভোট। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্ধি ফুটবল প্রতীক নিয়ে ফারহানা আহমেদ পপি পেয়েছেন ৯ হাজার ২৪৮ ভোট।
উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা তানিয়া আক্তার জানান, উপজেলার ৫ টি ইউনিয়নে ২৪ টি ভোট কেন্দ্রে ১ শত ৩৬ টি বুথে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়। উপজেলায় সর্বমোট ৪৯ হাজার ৫ শত ২৮ জন ভোটার। তৎমধ্যে পুরুষ ভোটার ২৬ হাজার ২৮ জন এবং মহিলা ভোটার ২৩ হাজার ৫ শত জন।
মঙ্গলবার রাতে রাজস্থলী উপজেলা পরিষদ সভা কক্ষে ফলাফল ঘোষণা করেন রাজস্থলী উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও সহকারি রিটার্নিং কর্মকর্তা সজীব কান্তি রুদ্র।
মঙ্গলবার রাতে কাপ্তাই উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে উপজেলা সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মহিউদ্দিন বেসরকারি ভাবে এই ফলাফল ঘোষণা করেন।
অন্যদিকে বিলাইছড়ি উপজেলা ৫টি হেলিকপ্টার ভোট কেন্দ্র হয়েছে। দুর্গম এলাকা হওয়ায় রাত ১০ টা পর্যন্ত কোন ফলাফল না আসায় উপজেলা নির্বাহী অফিসার কোন ফলাফল ঘোষণা করেন নি। তবে বিভিন্ন সূত্র থেকে জানা যায়, বীরোত্তম তঞ্চঙ্গ্যা বিজয়ী হওয়ার সম্ভবনা রয়েছে।