ঝুলন দত্ত, কাপ্তাই
রাঙামাটির রাজস্থলী উপজেলার ঘিলাছড়ি ইউনিয়নের রাস্তার মাথা এলাকায় রাজস্থলী সুবর্ণ মৈত্রী বৌদ্ধ বিহার প্রাঙ্গণে নির্মিত হচ্ছে ৪৫ ফুট উচ্চতার বুদ্ধমুর্তি। ধ্যানরত অবস্থায় এতবড় বুদ্ধমূর্তি পার্বত্য চট্টগ্রামে আর নেই বলে দাবি করেছেন এলাকাবাসী এবং বিহার পরিচালনা কমিটির সদস্যরা।
শুক্রবার সকাল সাড়ে আটটায় নির্মাণাধীন ৪৫ ফুট উচ্চতা ধম্মা বিজয়া বুদ্ধ প্রতিমূর্তিতে অষ্টধাতু প্রতিস্থাপন অনুষ্ঠান সুবর্ণ মৈত্রী বিহার প্রাঙ্গণে অনুষ্টিত হয়েছে।
রাজস্থলী সুবর্ণ মৈত্রী বৌদ্ধ বিহারের ব্যবস্থাপনায় ধাম্মা বিজয়া বুদ্ধমূর্তি প্রতিষ্ঠা পরিষদের আয়োজনে অনুষ্ঠিত অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন উ. কিত্তিমা মহাথেরো।
অনুষ্ঠানে প্রাজ্ঞ পন্ডিত পূজনীয় ভিক্ষু সংঘ সহ শ্রদ্ধাবান দানবীর ব্যক্তিবর্গ জনপ্রতিনিধি সহ দুর দুরান্ত থেকে আগত হাজার হাজার দায়ক দায়িকাবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠানে সকাল থেকে সমবেত বন্দনা ও পঞ্চশীল গ্রহণ, ত্রিপিটক পাঠ, বিশ্বশান্তির কামনায় পরিত্রাণ সূত্র পাঠ, জাতীয় ও ধর্মীয় পতাকা উত্তোলন অনুষ্ঠিত হয়। পরে ধম্মাবিজয়া বুদ্ধ মূর্তিতে অষ্টধাতু স্থাপনসহ ধর্মীয় দেশনা ও দানীয় সামগ্রী উৎসর্গ করা হয়।
রাজস্থলী মৈত্রী বিহার অধ্যক্ষ ভদন্ত ধর্মানন্দ মহাথেরো বুদ্ধমূর্তি নির্মাণের খরচ প্রসঙ্গে বলেন, কেবল বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বী মানুষ নয়, হিন্দু, খ্রিষ্টান, জনপ্রতিনিধি ও রাজনীতিবিদ সবার দানের টাকায় এই বুদ্ধমূর্তি গড়ে তোলা হয়েছে।
এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে প্রধান আশির্বাদক লংগদু বৌদ্ধ বিহারের অধ্যক্ষ ভদন্ত উঃ সুমনা মহাথেরো বলেন, ধ্যানরত বুদ্ধমূর্তির অনেক গুরুত্ব রয়েছে বৌদ্ধধর্মে। দেশে ধ্যানরত অবস্থায় এত বড় একটি বুদ্ধমূর্তি নির্মাণ অত্যন্ত গৌরবের। নতুন এই বুদ্ধমূর্তি পর্যটনেও ভূমিকা রাখবে। দেশ-বিদেশের অনেক পর্যটক আসবেন এটি দেখতে।